ఉ964 6, - o “. “ই রাধারাণি । তুমি ছেলেমানুষ, একেলা রখ দেখিতে গিয়াছিলে কেন " " ... তখন সে কথায় কথায়, মিষ্ট মিষ্ট কথাগুলি বলিয়, সেই এক পয়সার বনফুলের মালার সকল কথাই বাহির করিয়া লইল । শুনিল যে, মাতার পথ্যের জন্য বালিক। এই ৷ মালা গাথিয়া রথহাটে বেচিতে গিয়াছিল—রথ দেখিতে যায় নাই—সে মালাও বিক্রয় হয় নাই—এক্ষণেও বালিকার হৃদয়মধ্যে লুৱায়িত আছে। তখন সে বলিল, “আমি একছড়া । মালা খুজিতেছিলাম। আমাদের বাড়ীতে ঠাকুর আছেন, তাহাকে পরাইব । রথের হাট । শীঘ্ৰ ভাঙ্গিয় গেল—আমি তাই মালা কিনিতে পারি নাই। তুমি মালা বেচ ত আমি কিনি।” রাধারাণীর আনন্দ হইল, কিন্তু মনে ভাবিল যে, আমাকে যে এত যত্ন করিয়া হাত ধরিয়া, এ অন্ধকারে বাড়ী লইয়া যাইতেছে, তাহার কাছে দাম লইব কি প্রকারে ? তা নহিলে, আমার মা খেতে পাবে না। তা নিই। এই ভাবিয়া রাধারাণী, মালা সমভিব্যাহারীকে দিল। সমভিব্যাহারী বলিল, “ইহার . দাম চারি পয়সা—এই লও।” সমভিব্যাহার এই বলিয়া মূল্য দিল। রাধারাণী বলিল । “এ কি পয়সা ? এ যে বড় বড় ঠেক্চে।” イ。・ “ডবল পয়সা-দেখিতেছ না চুইট বই দিই নাই।” রাধা। তা এ যে অন্ধকারেও চক্চক্ করচে । তুমি ভুলে টাকা দাও নাই ত ? “না। নূতন কলের পয়সা, তাই চক্চক্ কর্চে ।” রাধা। ত, আচ্ছা, ঘরে গিয়ে প্রদীপ জেলে যদি দেখি যে, পয়সা নয়, তখন ফিরাইয়া দিব। তোমাকে সেখানে একটু দাড়াইতে হইবে। কিছু পরে তাহার রাধাপাশীল মার কুটীরদ্ধারে আসিয়া উপস্থিত হইল। সেখানে গিয়া, রাধারাণী বলিল, “তুমি ঘরে আসিয়া দাড়াও, আমরা আলো জালিয়া দেখি, টাকা কি পয়সা ।” সঙ্গী বলিল, “আমি বাহিরে দাড়াইয়া আছি। তুমি আগে ভিজা কাপড় ছাড়— তার পর প্রদীপ জালিও।” রাধারাণী বলিল, “আমার আর কাপড় নাই—একখানি ছিল, তাহা কাচিতে দিয়াছি । , ত, আমি ভিজা কাপড়ে সৰ্ব্বদা থাকি, আমার ব্যামো হয় না। আঁচলটা নিঙড়ে পরিব এখন । তুমি দাড়াও, আমি আলো জালি।” - “আচ্ছা।” ' kgRA# • *
পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।