बांदब्रिानै স্বন্ধে ভৈল ছিল না, স্বতরাং চালের খড় পাড়িয়া চকমকি কিয়, আগুন জালিতে ,গাগুন জালিতে কাজে কাজেই একটু বিলম্ব হইল। আলো জালিয়। রাধারাণী তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া আলো ধরিয়া তল্লাস করিয়া দেখিল যে, যে টাকা দিয়াছে, সে নাই—চলিয়া গিয়াছে। : রাধারাণী তখন বিষ্ণবদনে সকল কথা তাহার মাকে বলিয়া, মুখপানে চাহিয়া রহিল— সঞ্চাত্তরে বলিল—“মা ! এখন কি হবে ?” i. মা বলিল, “কি হবে বাছা! সে কি আর না জেনে টাকা দিয়েছে ? সে দাতা, * জামাদের ছঃখ শুনিয়া দান করিয়াছে—আমরাও ভিখারী হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া ধু" খরচ করি।" তাহার এইরূপ কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিল, এমত সময়ে কে আসিয়া তাহাদের কুটারের আগড় ঠেলিয়। বড় সোর গোল উপস্থিত করিল। রাধারাণী দ্বার খুলিয়৷ দিল—মনে Ā, r - করিয়াছিল যে, সেই তিনিই বুৰি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন। পোড়া কপাল! তিনি কৈনা পোড়ারমুখে কাপুড়ে মিসে। - রাধাবাণীর মার কুটার বাজারের অনতিদূরে । তাহীদের কুটীরের নিকটেই পদ্মলোচন শাহার কাপড়ের দোকান। পদ্মলোচন খোদ,—পোড়ারমুখে কাপুড়ে মিন্সে–একযোড় নূতন কুঞ্জদার শান্তিপুরে কাপড় হাতে করিয়া আনিয়াছিল, এখন দ্বার খোলা পাইয়া তাহ। রাধারাণীকে দিল । বলিল, “রাধারাণীর এই কাপড়।” . রাধারাণী বলিল, “ও মা ! আমার কিসের কাপড় ।” পদ্মলোচন—সে বাস্তবিক পোড়ারমুখো কি না, তাহা আমরা সবিশেষ জানি না— রাধারাণীর কথা শুনিয়া কিছু বিস্মিত হইল ; বলিল, “কেন, এই যে এক বাবু এখনই আমাকে নগদ দাম দিয়া বলিয়া গেল যে, এই কাপড় এখনই ঐ রাধারাণীকে দিয়া এস।” রাধারাণী তখন বলিল, “ওমা সেই গো ! সেই । তিনিই কাপড় কিনে পাঠিয়ে দিয়েছেন । হা গা পদ্মলোচন ?”— রাধারাণীর পিতার সময় হইতে পদ্মলোচন ইহাদের কাছে সুপরিচিত—অনেক বারই ইহুদিগের নিকট যখন মুদিন ছিল, তখন চারি টাকার কাপড়ে শপথ করিয়। আট টাকা । সাড়ে বারো আন, আর দুই আন মুনফা লইতেন। - “ই পদ্মলোচন-বলি সে বাবুটকে চেন ".
পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।