পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९७ - রাখারাণী বলিয়া রাধারাণী আঁচল হইতে সেই নোটখানি খুলিয়া দেবেন্দ্রনারায়ণের হাতে । দিলেন। দেবেন্দ্রনারায়ণ দেখিলেন, তাহার হাতে লেখা রাধারাশীর নাম সে নোটে আছে। দেখিয়া বলিলেন, “এ নোট কি রাধারাণীর স্বামী কখনও দেখিয়াছেন ?” : রা। রাধারাণী কুমারী। স্বামীর কথাটা আপনাকে মিথ্যা বলিয়াছিলাম । দে। তা, সব ত শোধ হইল না। রা। আর কি বাকি ? দে। দুইটা টাকা, আর কাপড়। রা। সব ঋণ যদি এখন পরিশোধ হয়, তবে আপনি আহার না করিয়া চলিয়া যাইবেন। পাওনা বুঝিয়া পাইলে কোন মহাজন বসে ? ঋণের সে অংশ ভোজনের পর রাধারাণী পরিশোধ করিবে । দে । আমার যে এখনও অনেক পাওনা বাকি । রা। আবার কি ? দে। রাধারাণীকে মনঃপ্রাণ দিয়াছি—তা ত পাই নাই । র। অনেক দিন পাইয়াছেন। রাধারাণীর মনঃপ্রাণ আপনি অনেক দিন লইয়াছেন --ত সে দেনাটা শোধ-বোধ গিয়াছে। দে। সুদ কিছু পাই না ? & রা। পাইবেন বৈ কি । দে। কি পাইব ? 娜 রা। শুভ লগ্নে সুতহিবুক যোগে এই অধম নারীদেহ আপনাকে দিয়া, রাধারাণী ঋণ হইতে মুক্ত হইবে। এই বলিয়। রাধীরাণী ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । षष्ठेम श्रहिट्घ्छ्रतः। রাধারাণীর আজ্ঞা পাইয়া, দেওয়ানজি আসিয়া রাজ দেবেন্দ্রনারায়ণকে বহির্ববাটীতে লইয়া গিয়া যথেষ্ট সমাদর করিলেন । যথাবিহিত সময়ে রাজা দেবেন্দ্রনারায়ণ ভোজন করিলেন । রাধারাণী স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া ত্বাহীকে ভোজন করাইলেন । ভোজনান্তে