পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鷲 o " ..." o: 3. 廖。 চলিল। আমি স্পষ্ট শুনিতে পাইলাম যে, সে শাসাইতে লাগিল যে, আবার খবরের কাগজ করিয়া আমার নামে আর্টিকেল লিখিবে। অষ্টম পরিচ্ছেদ সেই জনহীন রাত্রিতে, আমি অন্ধযুবতী, এক সেই দ্বীপে দাড়াইয় গঙ্গার কল কল জলকল্লোল শুনিতে লাগিলাম। ' হয়, মানুষের জীবন! কি অসার তুই। কেন আসিস্—কেন থাকিস্—কেন যাস । এ দুঃখময় জীবন কেন ? ভাবিলে জ্ঞান থাকে না। শচীন্দ্র বাবু, একদিন তাহার মাতাকে বুঝাইতেছিলেন, সকলই নিয়মাধীন। মামুষের এই জীবন কি কেবল সেই নিয়মের ফল ? যে নিয়মে ফুল ফুটে, মেঘ ছুটে, চাদ উঠে,—যে নিয়মে জলবুদবুদ ভাসে, হাসে, মিলায়, যে নিয়মে ধূল উড়ে, তৃণ পুড়ে, পাতা খসে, সেই নিয়মেই কি এই মুখস্থঃখময় মনুষ্যজীবন আবদ্ধ, সম্পূর্ণ, বিলীন হয় ? যে নিয়মের অধীন হইয়া ঐ নদীগর্ভস্থ কুম্ভীর শিকারের সন্ধান করিতেছে—যে নিয়মের অধীন হইয়৷ এই চরে ক্ষুদ্র কীটসকল অস্ত কীটের সন্ধান করিয়া বেড়াইতেছে, সেই নিয়মের অধীন হইয়া আমি শচীন্দ্রের জন্য প্রাণ ত্যাগ করিতে বসিয়াছি ? ধিক্ প্রাণত্যাগে ! ধিক্ প্রণয়ে । ধিক্ মনুষ্যজীবনে। কেন এই গঙ্গাজলে ইহা পরিত্যাগ করি না ? জীবন অসার—সুখ নাই বলিয়া অসার, তাহা নহে। শিমুলগাছে শিমুলফুলই ফুটিবে ; তাহা বলিয়া তাহাকে অসার বলিব না। দুঃখময় জীবনে দুঃখ আছে বলিয় তাহাকে অসার বলিব না। কিন্তু অসার বলি এই জন্য যে, দুঃখই দুঃখের পরিণাম—তাহার পর আর কিছু নাই। আমার মৰ্ম্মের ছুঃখ, আমি এক ভোগ করিলাম, আর কেহ জানিল না—আর কেহ বুঝিল না—দুঃখ প্রকাশের ভাষা নাই বলিয়া তাহ বলিতে পারিলাম না ; শ্রোতা নাই বলিয়া তাহ শুনাইতে পারিলাম না—সহৃদয় বোদ্ধা নাই বলিয়া তাহা বুঝাইতে পারিলাম না। একটি শিমুলবৃক্ষ হইতে সহস্র শিমুলবৃক্ষ হইতে পারিবে, কিন্তু তোমার দুঃখে আর কয়জনের দুঃখ হইবে। পরের অস্তঃকরণমধ্যে পরে প্রবেশ করিতে পারে, এমন কয়জন পর পৃথিবীতে জন্সিয়াছে ? পৃথিবীতে কে এমন জন্সিয়াছে যে, অন্ধ পুষ্পনারীর দুঃখ বুঝিবে ? কে এমন জশিয়াছে যে, এ ক্ষুদ্র হৃদয়ে, প্রতি কথায়, প্রতি শব্দে, প্রতি বর্ণে কত মুখদু:খের 8 त्यक्षय थ७ ः अडेभ श्रृंब्रिट्झन ു