পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

os রজনী বাত্যাতাড়িত পতঙ্গের মত দেশে দেশে বেড়াইলাম। আমি মনে করিলে আমার সেই জন্মভূমিতে রম্য গৃহ রম্য সজ্জায় সাজাষ্টয়া, রঙ্গের পবনে মুখের নিশান উড়াইয়া দিয়া, হাসির বাণে হুঃখরাক্ষসকে বধ করিতে পারিতাম। কিন্ত এখন তাই ভাবি, কেন করিলাম না। সুখ হঃখের বিধান পরের হাতে, কিন্তু মন ত আমার। তরঙ্গে নৌকা ডুবিল বলিয়া, কেন ডুবিয়া রহিলাম—সঁাতার দিয়া ত কুল পাওয়া যায়। আর স্থখ-দুখ কি ? মনের অবস্থ, সে ত নিজের আয়ত্ত। মুখ ছঃখ পরের হাজ, মা আমার নিজের হাত 1 পর কেবল বহির্জগতের কৰ্ত্ত—অন্তর্জগতে আমি এক ক6 জামার রাজ্য লইয়া আমি মুখ হইতে পারি না কেন? জড়জগৎ জগৎ, অন্তর্জগৎ কি জগৎ নয়? আপনার মন লইয়া কি থাকা যায় না? তোমার বাহ জগতে কয়টি সামগ্ৰী আছে, আমার অন্তরে কি বা নাই ? আমার অন্তরে যাহা আছে, তাহ তোমার বাহ জগৎ দেখাইবে, সাধ্য কি ? যে কুসুম এ মৃত্তিকায় ফুটে, যে বায়ু এ আকাশে বয়, যে চাদ এ গগনে উঠে, যে সাগর এ অন্ধকারে আপনি মাতে, তোমার বাহ জগতে তেমন কোথায় ? তবে কেন, সেই নিশীথকালে, স্বযুপ্ত সুন্দরীর সৌন্দৰ্য্যপ্রভা—দূর হৌক । একদিন নিশীথকালে—এই অসীম পৃথিবী সহসা আমার চক্ষে শুষ্ক বদরীর মত ক্ষুদ্র হইয়া গেল— আমি লুকাইবার স্থান পাইলাম না। দেশে দেশে ফিরিলাম। 駕 विडीझ अब्रिाम्हन কালের শীতল প্রলেপে সেই হৃদয়ক্ষত ক্রমে পুরিয়া উঠিতে লাগিল। কাশীধামে গোবিন্দকান্ত দত্ত নামে কোন সচ্চরিত্র, অতি প্রাচীন সন্ত্রাস্ত ব্যক্তির সঙ্গে আমার আলাপ হইল। ইনি বহুকাল হইতে কাশীবাস করিয়া আছেন। একদা তাহার সঙ্গে কথোপকথনকালে পুলিষের অত্যাচারের কথা প্রসঙ্গক্রমে উত্থাপিত হইল। অনেকে পুলিষের অত্যাচারঘটিত অনেকগুলিন গল্প বলিলেন—তুই একটা বা সত্য, দুই একটা বক্তাদিগের কপোলকল্পিত। গোবিন্দকান্ত বাবু একটি গল্প বলিলেন, তাহার সার মৰ্ম্ম এই ৷ ur “হরেকৃষ্ণ দাস নামে আমাদিগের গ্রামে একঘর দরিদ্র কায়স্থ ছিল। তাহার একটি কঙ্কা ভিন্ন অন্ত সম্ভান ছিল না। তাহার গৃহিণীর মৃত্যু হইয়াছিল, এবং সে নিজেও রুগ্ন ।