- दिउँौग्न थ७ : उिँौग्न পরিচ্ছেদ ళ్సీ এজন্য সে কন্যাটি আপন শুালীপতিকে প্রতিপালন করিতে দিয়াছিল। তাহার কন্যাটির কতকগুলিন স্বর্ণালঙ্কার ছিল । লোভবশতঃ তাহা সে স্থালীপতিকে দেয় নাই। কিন্তু যখন মৃত্যু উপস্থিত দেখিল, তখন সেই অলঙ্কারগুলি সে অামাকে ডাকিয়া আমার কাছে রাখিল—বলিল যে, “আমার কন্যার জ্ঞান হইলে তাহাকে দিবেন—এখন দিলে রাজচন্দ্র ইহা আত্মসাৎ করিবে। আমি স্বীকৃত হইলাম। পরে হরেকৃষ্ণের মৃত্যু হইলে সে লাওয়ারেশ মরিয়াছে বলিয়, নন্দী ভৃঙ্গ সঙ্গে দেবাদিদেৰ মহাদেব দারোগ মহাশয় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। হরেকৃষ্ণের ঘট বাট পতির টুকনি লাওয়ারেশ মাল বলিয়া হুঙ্কগণ্ড করিলেন। কেহ কেহ বলিল যে, হরেকৃষ্ণ লাওরারেশ নছে—কলিকাতায় তাহার কষ্ঠা আছে। স্বারোগ মহাশয় তাহাকে কটু বলিয়া, আজ্ঞা করিলেন, ওয়ারেশ থাকে, হজুরে হাজির হইবে ? তখন আমার দুই একজন শত্রু সুযোগ মনে করিয়া বলিয়া দিল যে, গোবিন্দ দত্তের কাছে ইহার স্বর্ণালঙ্কার আছে। আমাকে তলব হইল। আমি তখন দেবাদিদেবের কাছে আসিয়া যুক্তকরে দাড়াইলাম। কিছু গালি খাইলাম। আসামীর শ্রেণীতে চালান হইবার গতিক দেখিলাম। বলিব কি ? ঘু্যাযুষির উদ্যোগ দেখিয়া অলঙ্কারগুলি সকল দারোগ মহাশয়ের পাদপদ্মে ঢালিয়া দিলাম, তাহার উপর পঞ্চাশ টাকা নগদ দিয়া নিস্কৃতি পাইলাম। “বলা বাহুল্য যে, দারোগ মহাশয় অলঙ্কারগুলি আপন কন্যার ব্যবহারার্থ নিজালয়ে প্রেরণ করিলেন। সাহেবের কাছে তিনি রিপোর্ট করিলেন যে, হরেকৃষ্ণ দাসের এক লোট আর এক দেরকে ভিন্ন অন্ত কোন সম্পত্তিই নাই ; এবং সে লাওয়ারেশ ফোঁত করিয়াছে, তাহার কেহ নাই।’” হরেকৃষ্ণ দাসের নাম শুনিয়াছিলাম। আমি গোবিন্দ বাবুকে জিজ্ঞাসা করিলাম যে, “ঐ হরেকৃষ্ণ দাসের এক ভাইয়ের নাম মনোহর দাস না ?” গোবিন্দকান্ত বাবু বলিলেন, “হ । আপনি কি প্রকারে জানিলেন ?” আমি বিশেষ কিছু বলিলাম না । জিজ্ঞাসা করিলাম, “হরেকৃষ্ণের গুগলীপতির নাম কি ?” தி গোবিন্দ বাবু বলিলেন, “রাজচন্দ্র দাস।” অামি । তাহার বাড়ী কোথায় ? গোবিন্দ বাবু বলিলেন, “কলিকাতায়। কিন্তু কোন স্থানে, তাহা আমি ভুলিয়৷ গিয়াছি।” আমি ক্সি প্লাসা করিলাম, “সে কস্তাটির নাম কি জানেন ?”
পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।