পাতা:রাধারাণী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- . . . MM BBB BBBBB BB BBBS BBBB BBBBDD BBBS BB BB BiS - বাঞ্ছারামের স্বৰ্গপ্রাপ্তি হইল : । * . . . . . . . . দি লীল নদে জাপিায় গোসল আকসা - - করিয়া যথাকর্তব্য করেন নাই, এই হুঃখে অনেক দিন ধরিয়া রোদন করিলেন। তিনি আর ভবানীনগর গেলেন না, কলিকাতাতেই পিতৃকৃত্য সম্পন্ন করিলেন। কেন না, এক্ষণে ঐ বাটী মনোহর দাসের হইল । এদিকে মনোহর দাসের কোন সম্বাদ নাই। পশ্চাৎ জানিতে পারা গেল যে, বাঞ্ছারামের জীবিতাবস্থাতেও মনোহরের কেহ কোন সম্বাদ পায় নাই। মনোহর দাস ভবানীনগর হইতে যে গিয়াছিল, সেই গিয়াছিল ; কোথায় গেল, বাঞ্ছারাম তাহার অনেক সন্ধান করিলেন ; কিছুতেই কোন সম্বাদ পাইলেন না। তখন তিনি উইলের এক ক্রোড়পত্র স্বজন করিলেন। তাহাতে বিষ্ণুরাম সরকার নামক একজন কলিকাতানিবাসী আত্মীয় কুটুম্বকে উইলের একজিকিউটর নিযুক্ত করিলেন। তাহাতে কথা রহিল যে, তিনি সযত্নে মনোহর দাসের অমুসন্ধান করিবেন। পশ্চাৎ ফলামুসারে সম্পত্তি যাহার প্রাপ্য, তাহাকে দিবেন। বিষ্ণুরাম বাবু অতি বিচক্ষণ, নিরপেক্ষ, এবং কৰ্ম্মঠ ব্যক্তি। তিনি বাঞ্ছারামের মৃত্যুর পরেই মনোহর দাসের অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। অনেক পরিশ্রম ও অর্থব্যয় করিয়া যাহা বাঞ্ছারাম কর্তৃক অনুসন্ধান হয় নাই, তাহার নিগূঢ় কথা পরিজ্ঞাত হইলেন। স্থল বৃত্তান্ত অনুসন্ধানে এই জানা গেল যে, মনোহর ভবানীনগর হইতে পলাইয়। কিছু কলি সপবিবাবে ঢাকা অঞ্চলে গিয়া বাস করেন। পরে সেখানে জীবিকানিৰ্ব্বাহের জন্য কিছু কষ্ট হওয়াতে, কলিকাতায় নৌকাযোগে আসিতেছিলেন, পথিমধ্যে বাতায় পতিত হইয়। সপরিবারে জলমগ্ন হইয়াছিলেন। তাহার আর উত্তরাধিকারী ছিল, এমন সন্ধান পাইলেন না। বিষ্ণুরাম বাৰু এ সকল কথার অকাট্য প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়া রামসদয়কে দেখাইলেন। তখন বাঞ্ছারামের ভূসম্পত্তি শচীন্দ্রদিগের দুই ভ্রাতার হইল ; এবং বিষ্ণুরাম বাবুও তাই র্তাহীদের হস্তে সমর্পণ করিলেন । এক্ষণে এই রজনী যদি জীবিত থাকে,তবে যে সম্পত্তি রামসদয় মিত্র ভোগ করিতেছে, তাহা রজনীর। রজনী হয়ত নিতান্ত দরিদ্রাবস্থাপন্ন। সন্ধান করিয়া দেখা যাউক । আমার আর কোন কাজ নাই ।