পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। లిసె নিজে পরিতোষ লাভ করিতেন। প্রার্থীর অভাব পূর্ণ করিলেই আপনার প্রভূত শাস্তি অনুভব করিতেন। পীড়িতের পীড়া শাস্তি করিলেই আপনাকে সুস্থ দেহা বিবেচনা করিতেন । র্তাহার नक्षत এই অমুসন্ধান ছিল যে, কোন দুঃখী অনাহারে আছে ; কাহার গৃহে অদ্য তণ্ডুল নাই ; কে অর্থাভাবে বিদ্যাভ্যাস করিতে পারিতেছে না ; কোন রোগী দরিদ্রতায় চিকিৎসার ব্যয় দিতে অসমর্থ ; কোন ব্যক্তি প্রিয় পুত্র কন্যার বিবাহ দিতে অসমর্থ হইয়াছে। তিনি গৃহাগত শত শত অনাথাকে আপনার পরিবারের মধ্যে লইয়া পূজনীয়া জননীর মত র্তাহাদিগের সঙ্গে একত্রে সংসার করিতেন । সুৰ্য্যোদয় অবধি, রাত্রি দুই প্রহর পর্য্যন্ত, তাহার গৃহ রন্ধন-ধূমে পরিব্যাপ্ত থাকিত । সৰ্ব্বদাই, নানা উপাদেয় সামগ্রী প্রস্তুত হইতেছে ; ভারে ভারে সন্দেশ, দধি, ক্ষীর ইত্যাদি আসিতেছে, তাহা মহারাণীর নিজের জন্য কিছুই নহে । ব্রতোপবাসেই তাহার অধিক দিন গত হইত, মাসের মধ্যে যে অল্পদিন আহার করিতেন, তাহাও সামান্ত হবিষ্যান্ন। দুগ্ধ ব্যতীত ছানা, ক্ষীর মাখন তিনি স্পর্শও করিতেন না। তিনি প্রত্যহ বিস্তর বিচিত্র বস্ত্র, শাল বনাত বিতরণ করিতেন, কিন্তু আপনি একখানি মোট কাপড়েই শীত গ্রীষ্ম অতিবাহিত করিতেন। তিনি, পোষ মাঘ মাসের দুরন্ত শীতেও পরিধেয় বস্ত্রের অঞ্চল বেষ্টনেই শীত নিবারণ করিতেন । শীতের রাত্রিতে কম্বলাদি ব্যবহার করিতেন । তিনি এতাদৃশ কোমল হৃদয়া ছিলেন, যে, পর দুঃখ দেখিলেই অশ্রু বিসর্জন করিতে করিতে ত্রবীভূত প্রায় হইয়। যাইতেন। তাহার আপনার অভাবের সীমা ছিলনা, কিন্তু অন্তের অভাব, অন্তের কষ্ট দেখিলে আত্মহারা হইতেন । তিনি • ঘোরতর পাপাত্মাকেও নিন্দ করিতেন না, কাহার নিন্দ।