পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) R り মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। কথায় বুঝাইয়া ১২৯০ বঙ্গাব্দের ২৭শে অগ্রহায়ণ তারিখে কাশীধামে যাত্রা করিলেন । অন্তঃপুর বাসিনীদিগের মধ্যে র্যাহারা মাহারাণীর সঙ্গে যাইতে ইচ্ছা করিলেন, র্তাহার। অনেকেই তাহার সঙ্গে গিয়াছিলেন । মহারাণী, পুঠিয় রাজধানীতে অবস্থিতি কালে কুমার যতীন্দ্র নারায়ণেরও ক্রমে স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইয়াছিল । তিনি, বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীদিগের মন্ত্রণায় একখানি উইল করিয়াছিলেন। কিন্তু, সেই উইলের বৃত্তান্ত মহারাণীকে কিছুই বলা হইয়াছিল না। সেই মন্ত্রণায় মহারাণীর এক জন প্রাচীন বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীও ছিলেন, তিনিও তদ্বিষয়ে কোন কথাই মহারাণীকে জ্ঞাপন করেন নাই। দুষ্টলোকের হাতে স্বৰ্গও নিরাপদ নহে। বিশেষতঃ বড়লোকের আশ্রয়ে নানা চরিত্র লোকের অভাব নাই । অনেকেই এই উপলক্ষে মহারাণীর নিকটে নানা কথা বলিতে লাগিল । কেহ বা সেই প্রাচীন বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীকে স্বার্থশীল প্রতিপন্ন জন্ত বলিল যে, কুমারের দ্বার। উইলে সেই কৰ্ম্মচারী নিজের কোনও গুরুতর উদ্দেশু সাধন করিয়া লইয়াছেন, তাহতেই উইলের বিষয় মহারাণীর নিকটে গোপন করা হইয়াছে । কেহ কেহ বা অন্তরূপ জল্পনা কল্পনা করিতে লাগিল। মহারাণী, কাহারও কথায় আস্থ স্থাপন করিলেন না। অথচ এই বিষয় কুমারকে কিম্বা কৰ্ম্মচারাদিগকে একদিনের জন্তও জিজ্ঞাসা করিলেন না। বাস্তবিক পক্ষে কুমার আপন উইলে তাহার অভাব পরে সম্পত্তির কার্য্য মুনিৰ্বাহ নিমিত্ত র্তাহার মাত মহারাণীর হাতে সম্পত্তি থাকার নিয়ম করিয়াছিলেন। মহারাণীকে সে বিষয় জানাইলে তিনি, তাহাতে সম্মত হইতেন না, অথচ কুমারও মাতার আজ্ঞা পালন না করিয়া থাকিতে পারিতেন না, সুতরাং তাহার মাতার হাতে সম্পত্তি থাকার সঙ্কল্প ভঙ্গ করিতে হইত। সেই কারণে উইলের বিষয় মাতাকে কিছু বলিয়াছিলেন না। এবং অন্তকে বলিতেও নিষেধ করিয়াছিলেন।