পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। >3: তিনি ১২৯২ বঙ্গাব্দের শীতকালের প্রথমে । বধুরাণীকে তাহার পিতৃকুলের অভিভাবকদিগের রক্ষণাধীনে রাখিয়া তীর্থ যাত্রায় বহির্গত হইলেন। র্তাহার গর্ভধারিণীও র্তাহার সঙ্গে ছিলেন। তিনি বিন্ধ্যাচল ও প্রয়াগ হইয়া অযোধ্যায় গমন পূৰ্ব্বক পদব্রজে অযোধ্যার চতুঃসীম। প্রায় ১৪১৫ ক্রোশ প্রদক্ষিণ করিয়াছিলেন। সে সময়ে তিনি যেরূপ বিবিধ রোগে পরিক্ষীণা হইয়াছিলেন, অন্ত দুঃখিনীরাও সেরূপ অবস্থায় পদব্রজে এত পথ অতিবাহিত করিতে পারিত কি না সন্দেহ। অযোধ্যা হইতে এলাবন, চিত্রকুট, ওঙ্কারেশ্বর, নৰ্ম্মদেশ্বর এবং দণ্ডকারণ্যের কিয়দংশ পর্য্যটন অন্তে নৈমিষারণ্য, পুষ্কর, কুরুক্ষেত্র, হরিদ্বার, কনখল, জালামুখী, কাঙ্গড়, মথুরা এবং বৃন্দাবন প্রভৃতি তীর্থ পৰ্য্যটন করিয়া বৈশাখ মাসে কাশীধামে প্রত্যাগমন করেন । তিনি যে যে তীর্থে গমন করিয়াছিলেন, সেই সেই তীর্থের পদ্ধতি অনুসারে সমস্ত কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিলেন। এবং প্রতি স্থানেই প্রভূত দান করিয়াছিলেন । অযোধ্যা এবং পুষ্কর প্রভৃতি তীর্থে সহস্ৰ সহস্ৰ সাধু ভোজন করাইয়াছিলেন। জালামুখী তীর্থে ১২৯২ বঙ্গাব্দের ১লা চৈত্রে তাহার স্নেহময়ী জননী কলেবরত্যাগ করায় তিনি অন্ত তীর্থে গমন রহিত করিয়া বারাণসীতে প্রত্যাগমনে বাধ্যা হইয়াছিলেন । । তিনি কাশীধামে আসিয়া স্নেহময়ী পুত্রবধুর সহিত সম্মিলতা হইলেন। তাহার পুত্রবধু রাণী হেমন্তকুমারী, নিতান্ত অল্পবয়স্ক হইলেও মহারাণীকে মাতৃবং ভক্তি করিতেন। কিন্তু পূৰ্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে যে, কতকগুলি দুষ্ট প্রকৃতি লোকের দ্বারা তাহাদের মধ্যে মনাস্তরের স্বত্রপাত হইয়াছিল । রাণী হেমন্তকুমারী, সেই সকল দুষ্ট লোককে স্বতরাং তীর্থ, ভ্রমণে অনির্দিষ্ট স্থানে বাসের দ্বারা সাক্ষ্য দায় হইতে মুক্তির অভিলাষ করিলেন ।