পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ○& মহরণী শরৎস্বুরীর জীবন-চরিত। জ্ঞাপন করিতে পারিত। যদিই বা কৰ্ম্মচারীগণ, মহারাণীর ঘোরতর পীড়ার ব্যপদেশে কোন কোন ব্যক্তিকে বিদায় করিয়া দিতেন, কিন্তু, পরে তাহ গোপন থাকিত না । মহারাণী এই নিমিত্তই তাহার নামিক কোন চিঠি কি আবেদন পত্র স্বয়ং পাঠ করিতেন, কেননা, তাহা হইলে কৰ্ম্মচারীগণ, কাহাকেও বিমুখ করিলে, কিম্বা কাহারও প্রতি অত্যাচার করিলে তাহা, তাহার জানিবার সুবিধা হইবে । কিন্তু, এখন দিবারাত্রির মধ্যে নানা কার্য্যে অবসর মাত্র হইত না, সুতরাং প্রাত্যহিক সমাগত পুঞ্জ পুঞ্জ পত্র পাঠ করিবারও সময় পাইতেন না'। তিনি এই শয্যাগত রুগ্নাবস্থাতে একদিন কৰ্ম্মচারীগণের প্রস্তাবিত ব্যবহারের বিষয় অবগত হইয়া হৃদয়ে বড়ই ব্যথা পাইলেন। কিন্তু, দিনে দিনে তাহার নশ্বর দেহ ধবংস পথে অগ্রগামী, আপনার শক্তি, সামর্থ্য তিলে তিলে ক্ষয় পাইতেছে। তখন নিরুপায়ে কৰ্ম্মচারীদিগকে আহবান করিয়া কাতর ভাবে বলিলেন যে, “আমি আর অল্পদিন মাত্র আছি, অতএব আপনার আর এই কয় দিনের জন্ত কোন দরিদ্রকে রিক্ত হন্তে কিম্বা আমার অজ্ঞাতে বিদায় দিবেন না। সেরূপ করিলে বাস্তবিকই আমার হৃদয়ে ঘোরতর অশাস্তি উপস্থিত হয়।” ৰ ফলতঃ মহারাণীর এইরূপ অসুস্থ শরীরে কষ্ট লাঘব করা ব্যতীত কৰ্ম্মচারীদিগের মনে অন্ত কোনরূপ দুরভিসন্ধি ছিল না। র্তাহার অগত্য প্রার্থ মাত্রের বিষয় তাহাকে বিদিত করিতে সন্মত হইলেন। অবশেষে তাহার এরূপ কাৰ্য্য বাহুল্য হইয়া উঠিল যে, সকলের কথা শুনিতে,—সকলের প্রার্থন পূর্ণ করিতে, সকল বিষয়ের তত্ত্বাবধান করিতে, প্রত্যুষ হইতে দিবাবসান পৰ্য্যন্ত শেষ করিতে পারিতেন না। প্রায় প্রত্যহই সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে স্নান করিয়া কম্বলে অৰ্দ্ধ শয়নাবস্থায় নিত্যপূজা শেষ করিতেন। কোন দিন সামান্ত কিছু আহার করিতে পারি