পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। చిని এই অতিথিশালা পরিত্যাগের সময় ইহার কিছুই সঙ্গে লইতে পারিবে না। তবে, নিজের অর্জিত কৰ্ম্ম লইয়া সকলকেই যাইতে হইবে। সামান্ত অতিথিশালা হইতে এই সংসার অতিথিশালার কিছুই প্রভেদ নাই । শরৎসুন্দরী, যেন এই সত্যের ছায়। শৈশবেই পাইয়াছিলেন। ক্রমে বয়োবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, সংসারের নানা ঘাত প্রতিঘাত সহিতে সহিতে, এই সত্য, তাহার হৃদয়ে নিৰ্ম্মল আলোক প্রদান করিয়াছিল। র্তাহার পরবর্তী কাৰ্য্যের আলোচনা করিলেই তাহ বুঝা যায় |

  • বালিকার হৃদয়ে কুটিলতার লেশও ছিল না। ইহজীবনে কেহ র্তাহাকে ক্রোধ কি অভিমান করিতে দেখে নাই। অন্তে যাহাতে মনে ব্যথা পাইতে পারে, সত্য হইলেও তিনি তাহা বলিতেন না। পিতা মাতার নিকটে কোনও বিষয় আবদার করিতেন না । পরিবারস্থ দাসদাসীদিগের নিকটেও তিনি, অতি নম্রতার পরিচয় দিতেন । কাহারও কোনও কষ্ট দেখিলে, যথাসাধ্য তাহা নিবারণের চেষ্টা করিতেন, শেষে অপারগ হইলে নীরবে রোদন করিতেন । এই পাচ বৎসর বয়সের মধ্যে সকলে ইহার বিস্তর দৃষ্টান্ত দেখিয়াছে ; বাহুল্য বোধে দুইটা মাত্র এস্থানে উল্লেখ করা যাইতেছে | * o

কোনও দিন, ভৈরবনাথ, এক গুরুতর অপরাধে একজন পাচক ব্রাহ্মণের পাচ টাকা দগু করেন। ব্রাহ্মণ, তজ্জন্ত দুঃখিত হইয়া রোদন করিতেছে । বালিকা শরৎসুন্দরী, তাহ দেখিয়া ব্যাকুলভাবে ব্রাহ্মণকে তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করেন । তান্তে প্রশ্ন করিলে, ব্রাহ্মণ, সম্ভবত: কোন উত্তর করিত না । কিন্তু এই দয়াময়ী বালিকার সুমিষ্ট কথায়

  • লেখক, এই জীবনচরিত লিথিতে প্রবৃত্ত হইয়া, মহারাণী শরৎসুন্দরীর সম্পৰ্কীয় অনেকের সহিত এই বিষয়ে আলাপ করিয়াছে । সেই আলাপের সময়, ইহার বাল্যকালের কার্য্যকলাপের এত পরিমাণ আশ্চর্যা অাশ্চর্ষা ঘটনা শুনিয়াছে যে, তাহার সকলগুলি প্রকাশ করিলে প্রকাও একখানি পুস্ত ক হইতে পারে ।