পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s- মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ভাবিয়া, যোগেন্দ্রনারায়ণ বড়ই ব্যাকুল হইলেন। বালিকাও প্রস্তাবিত ঘটনায় উন্মন হইলেন। অথচ, মুখে কাহারই নিকট সে ভাব প্রকাশ করিতে পারেন না। যোগেন্দ্রনারায়ণ, কলিকাতা এই নুতন যাইতেছেন, বিশেষতঃ র্তাহাকে ভিন্ন স্থানে বন্দীর মত বাস করিতে হইবে ; সুতরাং শরৎমুন্দরীকে কোথায় রাখিবেন, তাহ ভাবিয়াই অস্থির হইলেন। অনেক চিন্তা করিয়া শেষে, সেই মাতুলানীর অভিভাবকতায় তাহাকে পুঠিয়ার রাজবাটীতে রাখাই স্থির করিলেন। শরৎসুন্দরীর বয়স, এখন নয় বৎসর। যোগেন্দ্রনারায়ণ, যে র্তাহার হৃদয়ে ঘোর আধিপত্য লাভ করিয়াছেন, পুঠিয়া যাইবার সময়, তিনি তাহা বুঝিতে পারিলেন। বালিকার স্বামীবিচ্ছেদ যাতনা অসহ হইয়া উঠিল। যোগেন্দ্রনারায়ণ, এখন আর র্তাহাকে বালিকাবৎ ব্যবহার করিতেন না। যাইবার সময় তিনি, মিষ্ট কথায় বালিকাকে নানা প্রকারে সাস্তুনা করিলেন । বালিকার মুখে কোনও কথাই নাই, তিনি কেবল অধোবদনে নীরবে অশ্রু বিসর্জন করিতে লাগিলেন। তাহার অবস্থা দেখিয়া যোগেন্দ্রনারায়ণও স্থির থাকিতে পারিলেন না ; তাহার সাহসী হৃদয়ও গলিয়া গেল। সে সময়ে তিনিও আপনার হৃদয়ের উপর, বালিকার আধিপত্য বুঝিতে পারিলেন। পরস্পরের এই বিচ্ছেদ হইতে, উভয়েই ভালবাসার প্রভাব জানিতে পারিলেন । যোগেন্দ্রনারায়ণ, আপনার বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীকে বলিয়া দিলেন, যে, শরৎসুন্দরী, যখন যাহা চাহিবেন, যখন যে বিষয়ে উৎসাহ প্রকাশ করিবেন, তাহাই যেন সম্পাদন করা হয়। কৰ্ম্মচারী, হাসিয়া কহিল—“মা যদি বাপের বাড়ী যাইতে চাহেন, তবে কি করিব ?” যোগেন্দ্রনারায়ণ কহিলেন—“অবশুই যাইতে দিব । কিন্তু আমার বিশ্বাস, কোন বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত, শরৎ, পিত্রালয়ে