পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

49 মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। যোগেন্দ্রনারায়ণ, কলিকাতা হইতে সৰ্ব্বদাই পত্র দ্বারা শরৎসুন্দরীর তত্ত্ব লইতেন। কিন্তু তাহাতেও তাহার হৃদয় আশ্বস্ত হইত না। তাহার ইচ্ছা হইত, শরৎ লিখা পড়া শিখিলে, আপনার হাতে তাহাকে পত্র লিখিতে পারিত, আর তিনিও তাহাকে মনেরভাব লিখিয়া, চিত্তের ভারলাঘব কৱিতে পারিতেন। তিনি, এইরূপ নানা চিন্তায় সৰ্ব্বদাই উন্মনা থাকিতেন। কলিকাতায় তাহার চক্ষে কিছুই ভাল বোধ হইত না । তিনি কেন, তৎকালে এই শিক্ষালয়ে যাহারা থাকিতেন, র্তাহারাই আপনাকে বন্দীর মত বিবেচনা করিতেন। এই শিক্ষালয় স্থাপনের পর, প্রথম প্রথম বড়ই কঠিন নিয়মের প্রবর্তন হইয়াছিল। ধনীসন্তানের। সেস্থানে বাস করিয়া শয়ন, উপবেশন, ভোজন, ভ্রমণ, সকল কার্য্যেই এককালে পরাধীন ছিলেন। আপনার আত্মীয় লোকের সহিত দেখা সাক্ষাৎ পৰ্য্যন্ত সহজে ঘটিত না । * যোগেন্দ্রনারায়ণ, এখন প্রস্তাবিত অভাব মোচনের জন্ত দৃঢ় সঙ্কল্প হইলেন। তিনি, স্থির করিলেন, এবার বাড়ীতে গিয়া শরৎসুন্দরীকে লিখা পড়া শিখইবার সদুপায় করিবেন। কলেজ বন্ধ হইলে অধ্যক্ষের নিকট বিদায় লইয়। অনেক ধনী সন্তানই, আপনার বাড়ীতে যাইতেন। যোগেন্দ্র անտ

  • লেখক, কোনও কারণে এই শিক্ষাগারের শেষ সময়ে সংস্থষ্ট থাকায়, অনেক বিষয় স্বয়ং প্রত্যক্ষ করিয়াছে। শেষ সময়ে যদিচ পূর্বের মত কঠোর নিয়ম ছিল না, কিন্তু যাহা ছিল, তাহাতেই স্বাধীন চিত্তের ধনী সন্তানেরা অনেক বিষয়ে অকারণে প্রসন্নত হারাইতেন। পড়া শুনায় অনেকেরই মনোনিবেশ হইত না । সকলেই আপনাকে বন্দীর মত বিবেচনা করিয়া, স্বাধীন কার্য্যের অবসর অনুসন্ধান করিতেন । সময়ে সময়ে সকলে পরামর্শ করিয়া তত্ত্বাবধায়ককে বঞ্চনা করিতেও ক্রট করিতেন না । ফলতঃ অতি শৈশবে এই শিক্ষাগারে। প্রবেশে সুশিক্ষার যেরূপ সুবিধা ছিল, ১৫১৬ বৎসরের বালকদিগের সুশিক্ষার পক্ষে ততোধিক অসুবিধা হইত। গবর্ণমেণ্ট, ইহার ফল

দেখিয়াই, ইহা এখন তুলিয়া দিয়াছেন। যোগেন্দ্রনারায়ণদিগের সময়ে এখানে বিস্তর বীভৎসকাণ্ডের অভিনয় হইয়াছিল । 嘯

ـ == يL-=