পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WA8, মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চবিত । আর কিছু দিন তাহাকে অবসর প্রদান করিত, তাহা হইলে তাহার অধিকারে আর নীলের ক্ষেত্র দেখা যাইত কিনা সন্দেহ। কিন্তু সেই ইচ্ছাময় ভগবানের কার্য্যের উদ্দেশু, মানববুদ্ধির অতীত। অতি অল্পদিনের মধ্যেই যোগেন্দ্রনারায়ণের আত্মীয়গণ, বুঝিতে পারিলেন যে, র্তাহার কার্য্যতৎপরতা, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্য্যন্তও সমানভাবে থাকিবে । অতএব তাহার কার্য্য কিম্বা উদ্যমশীলত। শারিরীক স্বাস্থ্যের পরিচায়ক নহে। তখন সকলেই তাহার সুচিকিৎসার জন্য বিশেষ চেষ্টা আরম্ভ করিলেন । নীলবিদ্রোহে ইংরেজ জাতির প্রতি, তাহার ঘোরতর অশ্রদ্ধা হইয়াছিল। তজ্জন্ত তিনি, ডাক্তারি চিকিৎসার কথা শুনিতে পারিতেন না । বাস্তবিক পক্ষে তাহ ষে র্তাহার সম্পূর্ণ ভ্রান্তিপূর্ণ বিশ্বাস, ইহা তিনি, প্রথমে বুঝিতে পারিয়াছিলেন না । ইংরেজ জাতির মধ্যে দেবস্বভাবাপন্ন ব্যক্তিরও অভাব নাই। দুই চারিজন বিচারক কিম্ব কতকগুলি বণিক, ইংরেজের চরিত্র দেখিয়া ইংরেজ জাতিমাত্রকে দোষ দিতে পারা যায় না। সমস্ত ইংরেজ জাতির হৃদয়ে জাতীয় উন্নতির মহান বীজ রোপিত থাকিলেও সকলেই তাহাতে অসদুপায় প্রয়োগ করেন না। তাহা করিলে আটাইশ কোটা লোক-নিবাস ভারতবর্ষ, মুষ্টিমেয় ইংরেজের রক্ষণাধীনে নিরাপদে থাকিতে পারিত না । ইংরেজ জাতির দ্যায়পরতা, সাৰ্ব্বজনীন ন৷ হইলেও, অনেক সভ্য জাতিরও অনুকরণীয়। যাহাহউক, যোগেন্দ্রনারায়ণ, প্রথমে ডাক্তারিমতে চিকিৎসায় অসম্মত থাকিলেও, যখন এককালে শয্যাগত হইলেন, তখন আত্মীয়দিগের কথায় রামপুর বোয়ালিয়ায় গিয়া ডাক্তার সাহেবের চিকিৎসাধীন হইলেন । সে সময়ে বালিকা শরৎসুন্দরীকে তাহার সঙ্গে যাইবার জন্য কেহই চেষ্টা করেন নাই। ত্রয়োদশ বৎসরের কুলবধূর পক্ষে এরূপ