পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२* মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবম-চরিত। যখন চিনিলেন, তখন ইহুধাম ত্যাগ করিতে হইল। সেই সময়ে ত্রয়োদশ ধৎসরের বালিকার হস্তে সম্পত্তির ভার ন্যস্ত করিয়া আপন পত্নীকে চিনিবার নিদর্শন মাত্র রাখিয়া গেলেন । যোগেন্দ্রনারায়ণ আর কিছু দিন জীবিত থাকিলে শরতের নিৰ্ম্মল জ্যোৎস্নায় থাকিয়া সময়ে যে আত্ম-পবিত্রত লাভ করিতে না পারিতেন, তাহারই বা নিশ্চয় কি ? যোগেন্দ্রনারায়ণ, ক্রমে বুঝিয়াছিলেন যে, তিনি একটা মহৎকার্য্য সাধনে আত্মোৎসর্গ করিয়া তাহার চরিত্রের উৎকর্ষতায় নানা কারণে অন্তরায় ঘটিয়াছে । শরৎসুন্দরী র্তাহার নিকট সে কথা উপস্থিত না করিলেও, যোগেন্দ্রনারায়ণ র্তাহাকে কোন কোন দিন আপনার অধঃপাতের বিষয় উল্লেখ করিয়া আপনাকে ধিক্কার দিতেন। শরৎমুন্দরী একে লজ্জাশীল অল্পবয়স্ক কুলবধু, তাহাতে র্তাহার আত্মা স্বৰ্গীয় অনশ্বর সুখের প্রার্থী ছিল, তজ্জন্ত পার্থিব নশ্বর সুখের ইচ্ছায় বোধ হয়, পতিদেবতার মনে ব্যথা দিতে চেষ্টা করেন নাই। অনেকে বলিতে পারেন, যে, পতির হিতার্থ কোনও কথা বলিলে তাহার হৃদয়ে কিছু কষ্ট হইলেও তাহ, পরিণামে উপকারক। কিন্তু কিছু স্থির চিত্তে চিন্তা করিয়া দেখিলে বুঝাযায় যে, যোগেন্দ্রনারায়ণের মত বুদ্ধিমান ব্যক্তি যাহা দোষাবহ জানিয়াও ত্যাগ করিতে আশক্ত হইয়াছিলেন তাহাতে ত্রয়োদশবর্ষীয় একটা কুলবধুর উপদেশে কি হইতে পারে ? বরং এরূপ স্থলে উপকারের পরিবর্তে ঘোর অপকারের আশঙ্কাই বিস্তর। সেই উপদেশ স্থান পাত্র এবং কাল বিবেচনায় প্রয়োগের ক্রটিতে, অনেক দম্পতি বিষময় ফল ভোগ করিয়াছেন। ফলতঃ যদি কেহ বুঝিয়াও আত্ম দৃঢ়তায় অবিশ্বাসী হয়, তবে অম্ভের , উপদেশে কিছুই হয় না। প্রত্যুত, সেরূপস্থলে তেজস্ব ব্যক্তি বিশেষের হৃদয়ে অন্যের উপদেশ, মৰ্ম্মভেদী তিরস্কাররূপে পরিণত হয়। এমন