পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিতঁ । 為○ বনাত বিতরণ করিয়াছিলেন। তিনি, ইহা ভিন্ন সাধারণ হিতার্থে পুঠিয়ায় ও মধুখালি গ্রামে ছাত্রবৃত্তি, এবং লালপুর ও ঝাওইল গ্রামে মাইনর স্কুল স্থাপন, এবং কালীগ্রাম প্রভৃতি স্থানে বিস্তর পাঠশালা স্থাপন করিয়াছিলেন। লালপুর ও ঝাওইলে প্রথম শ্রেণীর দুইটা চিকিৎসালয় এবং পুঠিয়াতে একটা সংস্কৃত চতুষ্পাঠী সংস্থাপন করিয়াছিলেন। রাজসাহীর ইংরেজী বিদ্যালয়ের গৃহ, তাহার পতি রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন, সেই বিদ্যালয় কলেজে পরিণত হইলে, মহারাণী শরৎসুন্দরী কলেজের চতুর্দিকে সুন্দর প্রাচীর ও রেলিং এবং কলেজ গৃহ নিৰ্ম্মাণার্থে এককালীন এগার হাজার টাকা প্রদান করিয়াছিলেন । পুঠিয়া রাজধানীতে একজন ভাল কবিরাজ ও ডাক্তার নিযুক্ত করিয়া এবং কালীগ্রামে একজন কবিরাজ নিযুক্ত করিয়া দীন দুঃখীর চিকিৎসা করাইতেন । তদ্ভিন্ন পুঠিয়া রাজধানীতে একটা পুস্তকালয় ও কলিকাতা প্রভৃতি স্থানে সাধারণ পুস্তকালয় স্থাপনে বিস্তর টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন । অসমর্থ লোকের চিকিৎসা ব্যয়, তীর্থ গমন ও তীর্থ বাসের ব্যয়, বিদ্যালয়, এবং চতুষ্পাঠীতে পাঠের ব্যয়, পরীক্ষার ফি, নানা স্থানের বিদ্যালয় প্রভৃতির গৃহ নিৰ্ম্মাণের ব্যয়, মাসিক সাহায্য আদিতে এবং স্থানে স্থানে জলাশয় নিৰ্ম্মাণ, ও পথ প্রস্তুতের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করিয়াছেন। তাহার প্রদত্ত পুঠিয়া রাজধানীর প্রকাও পরিখা, অদ্যাপি তাহার সুকীৰ্ত্তি ঘোষণা করিতেছে । ১২৭৮ বঙ্গাব্দে রাজসাহী প্রদেশে অত্যন্ত বন্যার প্রাদুর্ভাব হয় । নিম্ন ভূমির সহস্ৰ সহস্ৰ গো ছাগাদি গ্রাম্য জন্তু সহ সহস্ৰ সহস্ৰ লোক চতুর্দিক হইতে আসিয়া তাহার আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল । তিনি এক মাসের অধিক কাল নুনাধিক চারি সহস্র মনুষ্যকে এবং বিস্তর