পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s > || বলিয়াছেন যে, উহ। ভগবানের কল ঘরা অর্থাৎ ব্যবস্থা মাত্র । নরনারীগণ যখন ভগবানের সাধনা করেন, তখন র্তাহাদের পরস্পর কোন প্রভেদ থাকে না । তাহাদের উভয়ের অভিপ্রায় এক প্রকার, সাধনা এক প্রকার এবং কার্য্যও ফলতঃ এক প্রকার। একদা মীরাবাই সনাতন গোস্বামীর কৃষ্ণামুরাগের কথা শুনিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। সনাতন গোস্বামী স্ত্রীলোকের নাম শ্রবণ করিয়া অতিশয় বিনীতভাবে বলিয়া পাঠান যে, তিনি সন্ন্যাসী, সুতরাং কামিনীর মুখাবলোকন করিলে তাহার ব্রতভঙ্গ হইয়া যাইবে । সনাতনের এই কথায় মীর হাসিয়া বলিয়াছিলেন, কি ! কি ! সনাতন কি বলিয়াছে ? সন্ন্যাসী! পুরুষ ! এ যে নুতন কথা শুনিলাম । বৃন্দাবনে কৃষ্ণচন্দ্রই একমাত্র পুরুষ, আমরা তাহার দাসী । মনে করিয়াছিলাম, প্রভু আমার আবার কি রকম দাসী আনিয়াছেন ; একবার ভগ্নীর সহিত আমরা পরিচয় করি, তাহা না হইলে পাছে প্রাণবল্লব কিছু মনে করেন। একি আশ্চৰ্য্য কথা যে, কৃষ্ণচন্দ্রের অন্তঃপুরে, তাহার মহিলার মধ্যে পরপুরুষ আসিয়া প্রবেশ করিয়াছে ? ললিতা সখী কি এ সংবাদ পান নাই ? আমি এখনি তাহাকে বলিয়া সনাতনকে বৃন্দাবন হইতে দূর করিয়া দিব। এতক্ষণে সনাতন গোস্বামীর চৈতন্য হইল। অতএব কামবৃত্তির পূর্ণতা লাভ করা ধ্যানীর উদ্দেশু। কামবৃত্তির ন্যায় ক্রোধের পূর্ণতা লাভ করা ধ্যানীর দ্বিতীয় উদ্দেশু। ক্রোধ অর্থে উত্তেজনা। সংসারে এই মানসিক বৃত্তিটা খৰ্ব্ব করা নীতি শিক্ষার অন্তর্গত। সকলেই জানেন যে, ক্রোধী হওয়া উচিত নহে। ক্রোধে আমরা অপরের অনিষ্ট সাধন করিয়া থাকি, সুতরাং স্বার্থভঙ্গের স্থত্রাকুসারে কামের ন্যায় ক্রোধকে নিকৃষ্ট বৃত্তির অন্তর্গত বলিয়া কথিত হয় । সংসারে কামশক্তির কার্য্য দ্বারা মানসিক শক্তি যত কমিয়া আইসে,