পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৯২ ] ক্রোধও সেই পরিমাণে প্রস্ফুটিত হইতে পারে না। সংসারে ক্রোধ কোথায় ? উত্তেজনা কোথায় ? কামেই সমুদায় বৃত্তিগুলির সর্বনাশ করিয়া রাখিয়াছে। কোন ব্যক্তির এক দুরন্ত পুত্র ছিল । ইহার উৎপাতে প্রতিবাসীরা যারপরনাই উত্যক্ত হইয়া তাহার পিতার সহিত পরামর্শ পূৰ্ব্বক উহার বিবাহ দিবার ব্যবস্থা করিল। বিবাহের পরদিবস হইতে তাহার স্বভাব পরিবর্তিত হইয়া যাইল । সে স্ত্রী লইয়। সৰ্ব্বদ। ব্যতিব্যস্ত থাকিত এবং ঘন ঘন কামবৃত্তি চরিতার্থ দ্বারা অল্প দিবসের মধ্যে স্নায়বীয় বিকারগ্রস্থ হইয়া দুৰ্ব্বল হওয়ায় শক্তি বৃদ্ধির নিমিত্ত নেশ করিতে আরম্ভ করিল। নেশার সাময়িক উত্তেজনায় কামশক্তিও সাময়িক উত্তেজিত হইত বটে, কিন্তু যৌগিক অবসাদনের অতি ভাষণ কুরবস্থা অচিরাৎ প্রকাশিত হইল । সে তখন নেশা করিয়া জড়ের ন্তায় পড়িয়া থাকিত। একদিন সন্ধ্যাকালে তাহাকে মশক দংশন করায় তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিল, আচ্ছা ভাই ! যত পার কামড়াইয়া লও, বাবা আসিলেই তোমাদের উৎপাতের কথা বলিয়। একটা একটা বিবাহ দিয়া দিব । কামের দ্বার। এতদূর হীনাবস্থায় পরিণত হইতে হয়, সুতরাং অন্য বৃত্তির আর চিহ্ন মাত্রও খুজিয়া পাওয়া যায় না । ক্রোধের অর্থে উত্তেজনা বলা হইয়াছে। উত্তেজনা না থাকিলে কখন কামের সহায়ত হয় না। ধ্যানীর পক্ষে উত্তেজনা যারপরনাই প্রয়োজন। যাহাকে মহারমণ করিতে হইবে, যাহাকে ভগবানের সমীপে গমন করিতে হইবে, তাহার পক্ষে উত্তেজনা কতদূর প্রয়োজন, তাহ বলিয়া শেষ করা যায় না। যেমন কোন উদ্দেশ্য বস্তু লাভ করিতে হইলে যে প্রকার উত্তেজন বা অনুরাগ জন্মিবে, উদ্দেশু সাধন পক্ষে ততদুর সুবিধা হইবে । যাহার উত্তেজন নাই, যাহার ক্রোধ নাই,