পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ సెసె ] ফলে না, সেইরূপ র্যাহার মানসিক বল নাই, তাহার ধ্যান করা কখনই সন্তবে না । নির্জন স্থান নিদেশ করিয়া রামকৃষ্ণদেব সাংসারিক হিল্লোল হইতে মনকে কিয়ৎকাল রক্ষা করিবার ভাব প্রকাশ করিয়। গিয়াছেন । ইহা বাস্তবিক বনগমন করিবার অবস্থার পূর্বের কথা । সাধনার ভাব মনে উদয় হইবামাত্র কেহ তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন না । ক্রমাগত সাধনা বা অভ্যাস করিতে করিতে মন ক্রমে আয়ত্তাধীন হইলে তাহার বন্ধন বা পূৰ্ব্বসংস্কারাদি কমিয়। আইসে । এই জন্য বনে প্রবেশ করিবার পূৰ্ব্বে সংসারে ধ্যান করিতে শিক্ষা কর। কৰ্ত্তব্য । যে সাধক সংসারের ভিতর মন স্থির করিয়া নির্জন স্থানে ধ্যান করিতে পারেন, তাহার পক্ষে বনগমন বিধি । কারণ মনের আবেগে কিবা কোন হেতুবিশেষের দ্বারা যদ্যপি কেহ সন্ন্যাসী হইয়া বন গমন করেন, তাহা হইলে এরূপ সাধকের অনেক সময়ে পতন হইয় থাকে, এরূপ ঘটনা আমি পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। সংসারে থাকিয়া সাধন করিবার কথা বলা হইল বলিয়া কামিনী কাঞ্চন লিপ্ত নরনারীদিগকে নিন্দেশ করা যাইতেছে না। রামকৃষ্ণদেব কামিনীকাঞ্চনবিবর্জিত নরনারীদিগের জ ন্যই এই ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন । সাংসারিক নরনারীদিগের ধ্যান করিবার অধিকার কষ্মিনকালে নাই এবং হইতে পারে না, যেহেতু তিনি বলিয়াছেন যে, কেহ এক হাজার বৎসর রেত ধারণ করিয়া যদ্যপি এমন কি স্বপ্নাবস্থায় তাহা স্থলিত হইয়া যায়, তাহা হইলে তাহার সন্ন্যাস ভ্রষ্ট হইয়া যায়। সেস্থলে যে নর নারী কল্য ইন্দ্রিয় চালন করিয়াছেন, তাহার পক্ষে অদ্য ধ্যান করিবার সাধনা কোন মতে ব্যবস্থা হইতে পারে না । আমার এ কথা উপযুপিরি বলিবার হেতু এই যে, আমরা যোগের