পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s 24 J কামিনীলিপ্ত ধৰ্ম্মকৰ্ম্মবিহীন ব্যক্তিদিগের কথা কথার ভিতরে গণনীয় হইতে পারে না । মনের পাপ গতি নিবারণের জন্য হিন্দুসমাজে নানাবিধ গুরুতর সম্বন্ধের দ্বারা নর নারীরা সংবদ্ধ হইয়া আছে । এই সংবন্ধন দ্বারা যদিও সমাজ সংরক্ষিত হইতেছে কিন্তু তাহার তত্ত্ব অতুসন্ধান করিয়া দেখিতে যাইলে স্বতন্ত্র প্রকার রহস্ত বাহির হইয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অধিক দূর যাইব না, তাহ সময়ান্তরে আলোচনা করিব। তবে রামকৃষ্ণদেব সাধকদিগকে কেন যে বনে যাইতে বলিয়াছেন, তাহ। একটা জলন্ত দৃষ্টান্ত দ্বারা মীমাংসা করিয়া দিতেছি । কথিত হইল যে, সমাজ গুরুতর সম্বন্ধ দ্বারা সংবদ্ধ হইয়াছে। অন্যান্য সম্বন্ধ অপেক্ষা মাতৃ সম্বন্ধ অতিশয় গুরুতর। যে ব্যক্তি কোন স্ত্রীলোককে মা বলিয়া সম্বোধন করেন, সে স্ত্রীলোক সে ব্যক্তিকে বিশ্বাস করিতে পারেন, ইহা সামাজিক প্রথা ! কাহাকে ম৷ বলিয়া কোন ব্যক্তি তাহার প্রতি ভাবান্তরের কার্য্য করিতে পারে না, ইহা সামাজিক নীতি শিক্ষার কথা । এই ভাবে কেহ সন্দেহ করিলে সমাজ তাহার কণ্ঠরোধ করিতে বাহু প্রসারণ করিয়া থাকে। কিন্তু প্রভু এই সমাজকে একেবারে অবিশ্বাস করিতে সাধকদিগকে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন এবং রামকৃষ্ণদেব স্ত্রীমাত্রেরই প্রতি মাতৃভাব দেখাইয়াছিলেন বলিয়া সময়ে সময়ে অনেকের অন্তদাহ উপস্থিত হয়। রামকৃষ্ণতত্ত্ব বিষয়ে বক্তৃতাকালে আমি বলিয়াছিলাম যে, বৰ্ত্তমান সমাজের অবস্থা দেখিয়া তিনি সাধারণের কল্যাণার্থে মাতৃভাবের শিক্ষা দিবার জন্য আপনি সাধকাকারে তাহা প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন । মাতৃভাবের শিক্ষার কতদূর প্রয়োজন হইয়াছে, তাহাই বলিবার জন্য একটা প্রত্যক্ষ ঘটনা দৃষ্টান্তস্বরূপ প্রদান করিব বলিয়াছি । একদা কোন কৃষ্ণ-প্রেমাকাজিহ্মণী অনুরাগিণী সন্ন্যাসিনী গৃহত্যাগ