পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১০৬ ] পূৰ্ব্বক দেশ-দেশান্তর, তীর্থ, বন পরিভ্রমণ করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন । এই নবীন সন্ন্যাসিনী নবীন বয়সে নবীন নীরদবরণ শু্যামনটবরকে ঈদয়াসনে বরণ করায়, তাহার অপূৰ্ব্বরূপের ছটায় দিক বিমোহিত হইতে লাগিল। যে স্থানে তিনি গমন করিতেন, স্ত্রী, পুরুষ, বালক, বুদ্ধ এক দৃষ্টিতে র্তাহাকে নিরীক্ষণ করিত। সুতরাং নানাবিধ বিভীষিক উপস্থিত হইয়া সময়ে সময়ে তাহার অতিশয় যন্ত্রণার হেতু হইত। একদ। তিনি শ্ৰীশ্ৰীপুরুষোত্তম তীর্থে গমন করিয়াছিলেন। পথে জনৈক ভদ্রলোকের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয়। সন্ন্যাসিনীকে দর্শন করিবামাত্র ভদ্রলোকটী সাপ্পাঙ্গে প্রণাম পূর্বক কহিল, মাগো ! কে তুমি ? আমার পঞ্চশ বৎসরের উপর বয়ঃক্রম হইয়াছে কিন্তু তোমার মত অনুরাগিণী সন্ন্যাসিনী কাহাকেও দেখি নাই। মা ! আমি তোর পুত্র, যদ্যপি দয়া করিয়া ছেলে বলিয়া আমার বাট পবিত্র করিস, তাহ হইলে আমি জানিব যে, সার্থক ভগবতীর পূজা করিয়া থাকি। সন্ন্যাসিনী কহিলেন, বাবা ! তুমি কে ? ভদ্রলোক কহিল, আমি তোমার পুত্র । সন্ন্যাসিনী পুনরায় কহিলেন,শ্ৰীক্ষেত্রে তোমার বাস কেন ? ভদ্রলোক কহিল, আমি ওকালতি পেসার অনুরোধে এদেশে আসিয়াছিলাম। জন্মভূমিতে আপনার কেহ নাই, সন্তানাদি হয় নাই, বুদ্ধ হইয়াছি, এ অবস্থায় তীর্থ ত্যাগ করিয়া আর কোথায় যাইব ? এই ভাবিয়া জগবন্ধুর পাদপদ্মে স্মরণ লইয়া পড়িয়া আছি। সন্ন্যাসিনী জিজ্ঞাসা করিলেন, এখানে তোমার আর কে আছে ? ভদ্রলোক কহিল, আর কেহ নাই, থাকিবে কে? তবে ব্রাহ্মণী আছেন, তিনিই সেব। শুশ্ৰষা করিয়া থাকেন । এই কথা বলিয়া ভদ্রলোকটী কহিতে লাগিল, মা ! আমার মনোসাধ কি পূর্ণ হইবে ? সন্ন্যাসিনী মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন, যে কোন স্থানে হউক, থাকিতে হইবে । গৃহস্থের বাড়ী কিয়ৎ পরিমাণে