পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

اJ به د] ত্যাগ করিয়া তোমার কাছে তোমায় রক্ষা করিবার জন্য বসিয়া থাকেন। তুমি সন্ন্যাসিনীই হও, গৈরিকই পর, আর হরি হরি বলিয়া কাদ, বয়স কালের যাহা হইবার তাহ অবশ্যই হইয়া থাকে। আমারও অনেক বয়স হইয়াছে, অনেক সন্ন্যাসিনীও দেখিয়াছি। আরও কত দেখিব । সে যাহা হউক, ল। ছ। ব্রাহ্মণের নামে আর কিছু বলি ও না । সন্ন্যাসিনী ব্রাহ্মণীর কথায় প্রতিবাদ না করিয়। পরদিন তথা হইতে প্রস্থান করিবেন স্থির করিয়! রাখিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত: সেই দিন বিস্তুচিকা রোগের দ্যার ভেদ ও বমন হওয়ায় নিতান্ত দুৰ্ব্বল হইয়। পড়িলেন, সুতরাং সে দিন তাহার যাওয়া হইল না । একে রোগে দুৰ্ব্বল, তাহাতে ঔষধ এবং পথ্যাদির কোন ব্যবস্থ৷ না হওয়ায় সম্লাসিনী হতচেতনবৎ পড়িয়া রহিলেন । ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী কেহ একবার তাহাকে ডাকিয়া একবিন্দু জল প্রদান করিতে যাইল ন। সন্ন্যাসিনী প্রতিদিন গুহের দ্বার রুদ্ধ করিয়া অতি সাবধানে শয়ন করিতেন, কিন্তু সে দিন তাহ পারেন নাই । গভীর রজনীকালে ব্রাহ্মণ গাত্ৰোখান পূৰ্ব্বক সন্ন্যাসিনীর গৃহের দ্বারে আসিয়া ভাবিতে লাগিলেন, উহাকে যে পর্ষ্যস্ত দর্শন করিয়াছি, সে পর্য্যন্ত যে ক্লেশে দিন যাপন করিতেছি, তাহ জগন্নাথষ্ট জানেন । মুখের গ্রাস হইতে প্রায় বঞ্চিত হইয়াছিলাম কিন্তু বোধ হয় আমার বাসনা চরিতার্থ হইবে বলিয়া বিধাতা রোগের ছলনায় উহাকে অচৈতন্য করিয়া রাখিয়াছেন । এই ভাবিয়া ব্রাহ্মণ নিঃশব্দে সন্ন্যাসিনীর গৃহে প্রবেশ করিলেন। সন্ন্যাসিনী সমস্ত দিবস রোগ ভোগ করিয়া ভূমিতলে যামিনীর ক্রোড়ে গভীর নিদুভিভূত হইয়া শান্তিলাভ করিতেছিলেন। ব্রাহ্মণ গৃহে প্রবেশ করিবামাত্র সন্ন্যাসিনীর সহসা নিদ্রা ভঙ্গ হইয়া গেল। তিনি আতঙ্কে গাত্ৰোখান পূৰ্ব্বক বাবা বাবা বলিয়৷ চীৎকার করিয়া উঠিলেন ।