পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ه د لا ] পশু অপেক্ষ নিকৃষ্ট জ্ঞান করি,যদ্যপি আত্মকল্যাণ কামনা থাকে, এখনি দূর হইয়া যা ! ব্রাহ্মণ তথাপি প্রস্থান করিল না। সেই গৃহের প্রবেশ প্রস্থানের একটিমাত্র দ্বার ছিল, ব্রাহ্মণ সেই দ্বারের দিকে বাহু প্রসারণ পূৰ্ব্বক দণ্ডায়মান ছিল। কিরূপে তথা হইতে বাহির হইবেন, সন্ন্যাসিনী তাহার বৃথা সুযোগ অন্বেষণ করিতে লাগিলেন । কোনরূপে পলাইবার সুযোগ না দেখিয়া তিনি মনে মনে জগন্নাথকে স্মরণ করিলেন, তথাপি কোন উপায় হইল না। সন্ন্যাসিনী পুনরায় অতি বিনীতভাবে ব্রাহ্মণকে বলিলেন যে, বাবা কি করিতেছ ? একবার ভাবিয়া দেখ দেখি ? প্রাতঃকালে এই কথা প্রকাশ হইলে তুমি লোকালয়ে কিরূপে মুখ দেখাইবে ? এখানে কেহ নাই বটে, অন্ধকারে চক্ষু বুজিয়া আকৰ্ত্তব্য কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছ, কিন্তু দিনমান উদয় হইলে তখন কি আর আমার দিকে এরূপভাবে চাহিতে পারিবে ? এখনও বলিতেছি প্রস্থান কর । এই কথা শ্রবণ করিয়া ব্রাহ্মণ নিজ দৌৰ্ব্বল্য প্রকাশ করিয়া অস্থির হইয়। উঠিল। এমন সময়ে সন্ন্যাসিনীর বামপদে একখানি কাটারি স্পর্শিত হইল । সন্ন্যাসিনা মহিষমদিনীরূপে বামহস্তে সেই কাটারিখানি ধারণপূৰ্ব্বক গম্ভীরনিনাদে কহিলেন, তবে রে ব্রাহ্মণ ! এখনও তোর চৈতন্য হইল না ? এই অস্ত্রে আজ তোর মাতৃহরণ পাপের প্রায়শ্চিত্ত বিধান করিব । ব্রাহ্মণ তখন প্রাণভয়ে পলায়ণ করিল। কাটারি হস্তে সন্ন্যাসিনী উন্মাদিনীর ন্যায় ব্রাহ্মণের বাট হইতে বাহির হইয়। জগন্নাথদেবের মন্দিরের নিকটে গমনপূৰ্ব্বক কহিতে লাগিলেন, জগন্নাথ একবার বহির্গত হও, তোমার সহিত আমার কয়েকটা কথা আছে । আমার এ কথা আর শুনিবে কে ? তোমার পবিত্রধামে মুখে বাস করিব মনে করিয়া আসিয়াছিলাম। তুমি আমায় যে সুখী করিলে, তাহা বুঝিবার কেহ আছে কি না আমি এখন বুঝিতে পারিতেছি না ।