পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| لا د لا ] আমি ইতিপূৰ্ব্বে জানিতাম যে, কলিকালে কালমাহাত্ম্যে সকল সম্বন্ধ বিকৃত হইয়াছে । কিন্তু মাতৃ সম্বন্ধ অদ্যাপি সংসারে পবিত্র ভাবে আছে। সেই মধুর বিমল মাতৃভাবও গিয়াছে ? জগন্নাথ ! মাতৃভাবও বিকৃত হইল, ইহা অপেক্ষা পরিতাপের বিষয় আর কি আছে ? যে মা শব্দ শ্রবণ করিলে হৃদয়ে অপূৰ্ব্ব ভাবোদয় হয়, যে ম। শব্দে মনের আবেগ দূর হইয়া শাস্তি প্রকাশিত হয়, যে মা শব্দের প্রয়োগে অবলাগণ বিপদে বিশ্রাম পায়, সেই মাতৃভাবের ভাবান্তর জন্মিল, সেই মাতৃভাব বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কর্তৃক বিকৃত হইল ! জগন্নাথ ! আর যাইব কোথায় ? আর বিশ্বাস করিব কাহাকে ? সংসার মরুভূমি ! সংসার শ্মশান ! সংসার ব্যাঘ্রভম্বুকস স্কুল নিবিড় বন! জগন্নাথ ! একবার বাহির হও, এই অস্ত্রে তোমায় খণ্ড খণ্ড করিয়া তোমার অস্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সাধন করিয়া যাই । তুমি পতি থাকিতে, তোমার বাটীতে, তোমার সমক্ষে, তোমার সস্তান, তোমার বিলাসের দেহ অভিলাষ করে, এ আক্ষেপ রাখি কোথায় ? হৃদয়বিহারী জগন্নাথ সন্ন্যাসিনীর হৃদয়ে উদয় হইয়া বলিতে লাগিলেন, সন্ন্যাসিনী একবার অন্তরে চাহিয়া দেখ, আমি তোমায় অধিকার করিয়া রহিয়াছি । আমার বিলাসের বস্তুতে অন্যের বিলাস সম্ভব নহে । তোমাকে শিক্ষা দিবার নিমিত্ত আমি এই কৌশল করিয়াছিলাম। তুমি সন্ন্যাসিনী হইয়া কি জন্য সংসারের ভিতরে দীর্ঘকাল বাস করিয়াছ ? আমি তোমার ভিতরে রহিয়াছি, তাহ না দেখিয়া বাহিরের ভাবে দিন যাপন করিতেছ কেন ? সংসারে স্থলভাবে কাৰ্য্য হয় তাহা তুমি জানিয়া, সংসারীর মনের বাহ্য কার্য্যের পুষ্টিসাধন করিয়াছ। মন বাহিরে থাকিলে ভিতরের ভাব ক্রমে বিস্মৃত হইয়া যায়, ব্রাহ্মণের সেই অবস্থা ঘটিয়াছিল। কামিনীর সংশ্ৰব, সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনীর একবারে নিষেধ,