পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১১৩ ] ভগবান যখন নররূপ ধারণ করেন, তখন সংসারেই তিনি লীলা করিয়া থাকেন। পতিতদিগকে খুজিয়া খুজিয়া পবিত্র করেন, অসমর্থ অসমর্থাদিগকে বলদান করেন, সংসারজলধিনিমগ্নপ্রায় নরনারীদিগের হস্ত ধারণ পূর্বক উত্তোলন করেন, অজ্ঞান, আত্মহারাদিগের বিজ্ঞান চক্ষু ফুটাইয়া দেন, নারকী, নরপিশাচদিগকে ক্রোড়ে তুলিয়া লন। অবতারদিগের এই কাৰ্য্য চিরপ্রসিদ্ধ। সংসারে যখন ধৰ্ম্মপ্রাণ বিবজ্জিত হইয়া নরনারীগণ পশুবৎ আহার বিহারে পরিণত হয়, সেই সময়ে প্রাণের অভাব তাহারা বোধ করিতে পারে। প্রাণের অভাৰ ৰোধ হইলেই তাহার অন্বেষণ হইয়া থাকে, সেই সময়ে প্ৰাণেশ্বর আসিয়া উদয় হইয়া থাকেন। লীলার দ্বারা অবগত হওয়া যায় ৰে, প্রাণের ব্যাকুলতাই সংসারের সাধন । এই বর্তমান কালের অবস্থা দেখিয়া ভগবান রামকৃষ্ণ রূপে অৰতীর্ণ হইয়া সংসারীদিগের সাধনার ফল প্রদান করিয়া গিয়াছেন । সংসারে অন্য সাধনা নাই, কেবল বকল্মাই একমাত্র সাধন ; এই জন্য তিনি তাহাতে বকলুম দিয়া নিশ্চিন্তু চিত্তে সংসারে দিন যাপন করিয়া যাইবার জন্য আজ্ঞা করিয়া গিয়াছেন । যাহার যে মনের সাধ আছে, তাহ রামকৃষ্ণে অর্পণপূর্বক নিজ কতৃত্ব ত্যাগ করিয়। রামকৃষ্ণের ইচ্ছায় সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে পারিলে দিন দিন হৃদয়ে স্বগীয় ভােব আপনি ইষ্ট পাইবে । ঈশ্বর সাধনা আনুমানিক কাৰ্য্য নহে, আকাশকুসুমবৎ কোন বিষয় নহে, মানসিক চিন্তাবিশেষ নহে, কল্পনাপ্রস্থত চিত্রবিশেষ নহে ; তাহ প্রত্যক্ষ, প্রাণের শাস্তিপ্রদ অপূৰ্ব্ব ব্যাপার। বৰ্ত্তমানকালে রামকৃষ্ণ ব্যতীত কাহার উপায় নাই । সাধকেরা হউন, অসাধকের হউন, উভয় শ্রেণীর কল্যাণ বিধানের নিমিত্ত পূৰ্ণব্ৰহ্ম রামকৃষ্ণ রূপে অবতীর্ণ হইয়া যে ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন, তাহাই আমি