পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইলে বিশ্বপতির বিশ্ব সংসারের কার্য্যকলাপ এবং নিয়মাদি পর্য্যালোচনা করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য । রামকৃষ্ণদেব এই নিমিত্ত বলিতেন যে, উৰ্দ্ধদিকে চাহিয়া দেখ, এক নীলচন্দ্ৰাতপ দ্বারা ভূমণ্ডল সমাচ্ছাদিত । অন্ধকার দূরীভূত করিয়া বিশ্বসংসারের কার্য্য নিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত গ্যাস এবং ইলেক্‌টিক আলোকের ন্যায় চন্দ্র এবং স্বর্যের ব্যবস্থা করিয়াছেন। এই দ্বিবিধ আলোক ভূমণ্ডলস্থ জীববিশেষের নহে, শ্রেণীবিশেষের নহে, সম্প্রদায়বিশেবের নহে, সৰ্ব্বপ্রকার জীব, জন্তু, জলচর, ভূচর, খেচর, স্থল, স্বল্প কীটামুকীট, উদ্ভিদ এবং পার্থিব পদার্থমাত্রেই সমভাবে প্রাপ্ত হইয়া থাকে স্বৰ্য্য চন্দ্রের এমন অভিমান নাই যে, উহাকে আলোক দিব এবং উহাকে দিব না। তাহাদের আলোক দানের কার্য্য ; নিয়মিতরূপে সেই কাৰ্য্য সাধন করিয়া যাইতেছেন । বায়ুও তদ্রুপ । তাহার নিকট ইতর বিশেষ নাই, ধনী নিধনী নাই, সাধু অসাধু নাই, ব্রাহ্মণ শূদ্র নাই, যবন ম্লেচ্ছ নাই, সকলের সহিত সমভাবে কার্য্য করিয়া থাকে । ভগবানের নিকট সকলেই সমান । এই নিমিত্ত শ্ৰীকৃষ্ণ, যে যে ভাবে উপাসনা .করিবার ভাব দ্বারা কেবল ব্রাহ্মণদিগকে নির্দেশ করেন নাই। এইরূপ মীমাংসা করিবার হেতু এই যে, ভগবানকে প্রাপ্ত হইবার নিমিত্ত যাহার ইচ্ছা হইবে, তিনিই ভগবানকে পাইবেন, তিনিই তাহার সাধনার যোগ্য । ব্রাহ্মণ যদ্যপি ভগবানকে লাভ করিতে চাহেন, তাহা হইলে তিনি সাধনের অধিকারী হইতে পারেন, কিন্তু যদ্যপি তাহার উদেহু কামিনীকাঞ্চনে পরিপূর্ণ থাকে, তিনি যদ্যপি সেই উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত সৰ্ব্বদা ব্যতিব্যস্থ থাকেন, কামিনীকাঞ্চন ৰদ্যপি তাহার জ্ঞান, ধ্যান এবং জপমালা হয়, কামিনীকাঞ্চনের নিকটে যদ্যপি দাসখত লিখিয়া, দিয়া থাকেন, কামিনীকাঞ্চনের পুষ্টি সাধনের