পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪৭

[ లలి ) হনুমানের ভাবাবেশে বসিয়া থাকিতেন, তখন কেহ তাহার নিকট গমন করিলে তাহাকে আঁচড়াইতে এবং কামড়াইতে যাইতেন । পেয়ারা, কলাদি ফল না দিলে কেহ তাহার ভাবের সাম্য করিতে পারিতেন না। বৃক্ষ শাখায় বসিয়া থাকিতে র্তাহার ভাল লাণিত । এই সাধন কালে তিনি আপনি বলিয়াছেন যে, তাহার এক ইঞ্চের অধিক লাঙ্গুল বাহির হইয়াছিল। অবিশ্বাসী, তত্ত্বজ্ঞানান্ধ, বহিদষ্টার অনেকে এই কথা শ্রবণ কবিয়া অনেক কথাই বলিতে পারেন, কিন্তু তত্ত্ব নিরূপণ করিতে হইলে প্রত্যক্ষ ঘটনার আশ্রয় ব্যতীত কস্মিনকালে নিগূঢ় ভাব বাহির হয় নাই, হইবেও না। প্রত্যক্ষ ঘটনাই মানবগবেশনার একমাত্র উপায় এবং অবলম্বন । প্রত্যক্ষ ঘটনাবলীর আশ্রয়ীভূত স্বহ্মতম ভাব। ভাব কখন মনুষ্যচক্ষের গোচর নহে। তাহা জ্ঞানচক্ষুর অধিকারসস্তৃত। প্রত্যক্ষ ঘটনা হইতে স্বল্পজ্ঞানের উদয় হয়, সেই স্থল্মভাব বিজ্ঞান বলিয়া প্রচলিত। ফল পাকিলে বৃক্ষ হইতে ভুবক্ষে নিপতিত হয়, এ কথা কে না জানেন, এই স্থল ঘটনা কে না দেখেন, কে এই ঘটনাকে গণনায় স্থান দিতেন এবং এক্ষণেই ব৷ তাহাকে মূল্যবান বলিরা কয় জন লোকে স্বীকার করেন ? ফল পাকিয় ভূমিতে পড়িয়া যায়, এই কথা কি অজ্ঞসমাজে একট। কথা বলিয় স্থান পাইতে পারে ? না সে কথা যে আলোচনা করে, বাতুলশ্রেণী ব্যতাত তাহার অন্য স্থান সম্ভব ? কিন্তু ভু-বক্ষে আপেল নিপতিত হওয়; মহাত্ম। নিউটন দেখিলেন। তিনি এই ঘটনা, এই প্রত্যক্ষ স্বাভাবিক ঘটনা দর্শন করিয়া কি নিশ্চিস্ত হইয়া রহিলেন ? না তিনি ঘটনার গর্ভস্থিত সত্য বাহির করিবার নিমিত্ত ঘটনাবলম্বন পূৰ্ব্বক চিন্তাসাগরে বর্ণপ দিলেন। ঘটনা ক্রমে তাহার কারণ দেখাইয়া দিল । তিনি তখন জ্ঞানচক্ষে বিশ্বব্যাপিনী মাধ্যাকর্ষণ শক্তি উপলব্ধি করিতে পারি্লন ।