পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩৬ ] আমরা ঈশ্বর সাধনের অধিকারী নিরূপণ সম্বন্ধে ঐতিহাসিক কয়েকটী স্কুল ঘটনা প্রদর্শন করিলাম। কিন্তু এক্ষণে কথা হইতেছে যে, শাস্ত্রে চারিট বর্ণ নিরূপণ করিয়াছেন, তাহার মীমাংসা হইবে কিরূপে ? বর্ণচতুষ্টয়ের তাৎপৰ্য্য বাহির করিলে শক্তির তারতম্যই এই বিধ:নের প্রধান কারণ ৰলিয়া বুঝা যায়। বল্লাল সেন শক্তি বা গুণ বিচার দ্বারা ষে প্রকার কৌলীন্যাদি বিভাগ করিয়াছিলেন, কুলীনের। পুৰ্ব্বলক্ষণ বিহীন হইয়াও সমাজে পূৰ্ব্ব মৰ্য্যাদায় আদরণীয় হইতেছেন, সেই প্রকার যোগ, তপঃ, দম, শৌর্য্য, বিদ্যা, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিবিধ গুণসম্পন্ন ব্যক্তিই ব্রাহ্মণপদবাচ্য হইয়াছিলেন । এই লক্ষণ বজ্জিত হইলে র্তাহার আর পুৰ্ব্বশক্তি থাকিতে পারে না, সুতরাং ব্রাহ্মণ বলিয়া ব্লগ পরিচিত হইয়া থাকেন। যেমন ব্রাহ্মণকুলে জন্মিয়া যদ্যপি খষ্টান মুসলমান বা ব্রাহ্ম হন, তাহা হইলে তাহার ব্রাহ্মণত্ব লোপ হয় কেন ? কারণ ব্রাহ্মণের লক্ষণাদি আর তাহাতে থাকে না । সামাজিক ব্রাহ্মণগণের সহিত আর র্তাহাদের লক্ষণের মিল থাকে না। সেইরূপ যদ্যপি শাস । কথিত লক্ষণগুলির সহিত আধুনিক ব্রাহ্মণদিগকে তুলনা করা যায়, তাহা হইলে সমুদয় লক্ষণ না হউক, অন্ততঃ একটাও দেখা যাইবে না । সে দিন নাই, সে ব্যবস্থাও নাই । মনুসংহিতা লইয়া যদ্যপি ব্রাহ্মণের কাৰ্য্যকলাপ জীবন গঠনের প্রণালী পর্য্যালোচনা করা যায়, তাহ হইলে যে ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণকে ঈশ্বর সাধনের শ্রেষ্ঠ পাত্র বলিয়া ঘোষণা করেন, র্তাহারাই লজ্জিত হইবেন । বেদত্ৰয় অধ্যয়ন করা প্রত্যেক ব্রাহ্মণের অবস্ত কৰ্ত্তব্য। কেহ দীর্ঘকাল কেহ বা অন্ততঃ স্বল্পকালের জন্য একখানি বেদও অধ্যয়ন পূৰ্ব্বক বিদ্যা লাভ করিবেন, ইহাই ব্রাহ্মণাদি দ্বিজদিগের জীবনের প্রথম কাৰ্য্য । সে কাৰ্য্য আদৌ নাই বলিলে প্রকৃত কথা বলা হয় । বিদ্যা সম্বন্ধে এইরূপ বিশৃঙ্খলা জন্মিয়াছে,