পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s S8 o J স্বীকার করা গেল, যে সময়ে যাহার মন হইতে বৈষয়িক ভাব বিদূরিত হইবে, সেই সময়ে সাধনায় তাহার অধিকার জন্মিবে। এই স্থানে জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে, যে নরনারীর যে সময়ে সেই অবস্ত উপস্থিত হইবে, সেই নরনারী সেই মুহূৰ্ত্তে সাধনার পাত্র পাত্রা বলিয়। বিবেচিত ন হইবেন কেন ? ইহার অভ্যন্তরে একটা কথা আছে। ভগবানের স্বরূপ তত্ত্বে কথিত হইয়াছে যে, তাহার দুইটা অবস্থা । নিত্য এবং লীলা । এই দুই ভাবের দুইটী সাধন পন্থা প্রচলিত আছে । নিত্য পন্থাকে জ্ঞান মার্গ এবং লীলা পন্থা সাধারণ কথায় ভক্তি-মর্গি বলিয়া প্রকাশ আছে । জ্ঞান পন্থায় মনের সাধনা ব্যতীত উপায় নাই । যেহেতু স্কুল, স্বক্ষ, কারণ এবং মহাকারণাদি ধারণা করিবার যোগ্যতা লাভ করা চাই । স্থল বস্তু দর্শন করিয়া সত্যস্বরূপের ভাব উপলব্ধি করিতে কেহ পারেন না। যেহেতু স্থলে প্রত্যেক বস্তু পরিবর্তনশীল, সত্য জ্ঞান হইবে কিরূপে ? সুতরাং সেই স্থল বস্তু লইয়। স্থক্ষ্মে গমন করিতে হয়, সূক্ষ্ম ভাব ধারণা করিতে হইলে মানসিক বলের প্রয়োজন । মন বলবান থাকিলে অল্পায়াসে ভাব গ্রহণ কর।“যায় এবং সেই ভাব যতই পরিবৰ্দ্ধিত হইতে থাকে, ততই তাহার কারণ ও মহা কারণ ধারণ। করিবার শক্তিসঞ্চার হইয়া থাকে। এই নিমিত্ত মানসিক বলের বিশেষ প্রয়োজন । যাহাতে তাহ জন্মিতে পারে, যদ্বার। তাহ রক্ষিত হইতে পারে,তাহাই সাধনার মূল ভিত্তিভূমি। এই অবস্থাপন্ন যে নর নারী, সেই নরনারীই সুতরাং এই প্রকার সাধনার অধিকারী এবং অধিকারিণী । জ্ঞান পন্থায় মানসিক চিন্তা ব্যতীত কার্য নাই । যদ্যপি কেহ মনকে কামিনীকাঞ্চন দ্বারা দুৰ্ব্বল করেন, তাহা হইলে তাহার কার্য্যকারী শক্তিও দুৰ্ব্বল হইয়া আসিবে ; ফলে সাধনের সময় তিনি নিশ্চয় অকৃতকাৰ্য্য হইবেন, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই ।