পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ) 8ల ] এই প্রৌঢ় সংসারে চিরদিন সাংসারিক অর্থাৎ কামিনীকাঞ্চন ( কামিনী বলিলে স্ত্রী-পুরুষদিগের পক্ষে উভয়কেই বুঝায় ) ভাবে দিন যাপন করিয়া আসিয়াছেন। যদিও তিনি প্রৌঢ় হইয়াছিলেন, কিন্তু পতিভাব তাহার অগোচর বিষয় ছিল না। র্তাহার স্বামীর পরকালের পর তিনি বৈধব্য দশায় স্থির স্বভাব রক্ষা করিয়াছিলেন, কিন্তু পতির ভাব তাহার মনে দেদীপ্যমান ছিল। যখন একাকিনী শয্যায় শয়ন করিয়া থাকিতেন, তখন পতির সহিত সহবাসাদির কথা অন্ততঃ একদিনও স্মরণ হইয়াছিল, সেই বাসনা—সেই সঙ্কল্প আর খৰ্ব্ব হয় নাই, তাহা শরীরে সূক্ষ্মভাবে পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল। পতিসহবাসলালসা তাহার দেহকে অবলম্বন পূর্বক পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণরূপে প্রচ্ছন্নাবস্থায় ছিল, গঙ্গার ঢেউয়ের দ্বারা তাহার কটিদেশ স্পন্দিত হইবামাত্র উহা যেন উদ্দীপক কারণস্বরূপ হইয়া গেল । প্রৌঢ়ার মনও বিষয়বিরহিত ছিল না, মরিবার সময় সাধের সংসার কোথায় ফেলিয়া যাইতেছি, হয়ত বধুমাতারা পরস্পর বিবাদ বাধাইয়া পৃথক হইয়া যাইবে, আমার সংসার ছিন্নভিন্ন হইবে, এই সময়ে যদ্যপি কৰ্ত্ত জীবিত থাকিতেন, তাহা হইলে আমি মরিলে ক্ষতি হইত না । এইরূপ চিন্তা আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল । মনে পতির কথাও যেমন উদয় হয়, অমনি ওদিকে অঙ্গ বিচলিত হইয়া উঠে, সুতরাং মৃত্যু সময়ে পতি ও কাঞ্চনভাব লইয়া মৃত্যু হইল। মা জাহ্নবীতে মরিলে তিনি প্রচুর ফলপ্রদান করেন, কিন্তু ফললাভ সঙ্কল্পের প্রতি নির্ভর করিয়া থাকে । মরণকালে যে ভাব উপস্থিত থাকিবে, সেই ভাবাকুযায়ী ফলের আধিক্যত হইবে। প্রৌঢ়ার মনে পতিভাব আসিবার সময় মৃত্যু হয়, তন্নিমিত্ত তাহারই সংখ্যা বৃদ্ধি হইয়াছিল। তাই তাহাকে বেশ্য হইয়া সংখ্যাতীত-পতি সহবাস করিতে হইয়াছিল এবং বৃদ্ধকাল পর্য্যস্ত কাঞ্চনের সম্বন্ধ