পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 588 ) রাখিতে হইয়াছিল। অতএব কামিনীকাঞ্চন ভাব মনের ভিতরে কোন ভাবে থাকা উচিত নহে। কে জানে কোন সময়ে তাহা স্মরণ পথে আসিবে, কে জানে পরম সময়ে, যে সময়ে তাহার মানসক্ষেত্রে ভগবানের দৃষ্টি পতিত হইবে, সেই সময়ে যে সে ভাব উদ্দীপিত হইবে না, তাহ কে বলিতে পারে? এই নিমিত্ত যত্ন সহকারে কামিনীকাঞ্চন ভাব মন হইতে একবারে পৃথক্ করিতে না পারিলে কষ্মিনকালে সাধনে অধিকারী হওয়া যায় না। সাধন সময়ে যতবার কামিনীকাঞ্চন মানসাকাশে উদয় হইবে, ততবার তাহার ফললাভ করিতে হইবে । সুতরাং সে সাধকের ঈশ্বর লাভ ন হইয়া ঘোর সংসারী হইয়া জন্ম জন্ম স্তর কাল কামিনীকাঞ্চনের আশ্রয়ে অবস্থিতি করিতে হইবে । আমরা সাধারণ দৃষ্টাস্তে দেখিতে পাই, যে সময়ে কাহার ফটোগ্রাফ লওয়া যায়, সে সময়ে সে ব্যক্তি যে অবস্থায় থাকে, সেই অবস্থানুরূপ ছবি উঠিয়া থাকে। চক্ষু থাকিতেও অন্ধের ছবি হইতে পারে, সুরূপ সত্ত্বেও কুরূপ ছবি হইতে পারে। অথবা স্বাভাবিক ভাবে স্বাভাবিক ছবিও উঠিতে পারে। ভাল মন্দ হওয়। ছবি তুলিবার সময়ের প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া থাকে। সাধনাও তদ্রুপ, সাধন কালীন ভগবানকে স্মরণ করা হয়, তিনি কল্পতরু, তাহার তৎক্ষণাৎ সেই দিকে দৃষ্টি পড়ে। সাধকের মনের তখন যে অবস্থা তিনি দেখিবেন, সেই অবস্থার উৎকর্ষ সাধন হইবে, এই নিমিত্ত সাংসারিক ভাববিশিষ্ট মন লইয়া সাধন করিলে বিপরিত ফল ফলিতে দেখা যায় । এরূপ সাধকদিগের কামিনীকাঞ্চন লাভ করিবার পক্ষে আনুকূল্য হয়, সুতরাং ভগবানের নিকটে অগ্রসর হইতে পারে না। ভগবান যাহাতে দৃষ্টিপাত করেন, প্রচুর পরিমাণে তাহ বৃদ্ধি হয়, একথ। . আমাদের কাহার অবিদিত নাই, নরনারী উভয়েই তাহ