পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 38న ] উল্লিখিত হইয়াছে যে, অহঙ্কার বৃদ্ধির সহিত মানসিক বল বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে। এক্ষণে ইহার তাৎপৰ্য্য জ্ঞাত হওয়া কৰ্ত্তব্য । হীনবীৰ্য্য হইলে মস্তিষ্ক ক্ষয়গ্রস্থ হয়, তন্নিমিত্ত তাহার মানসিক বল দুৰ্ব্বল হইয়া আইসে বলিয়া অনন্ত ভাবময়কে ধারণা করিতে পারে না বলিয়া এক পক্ষীয় কারণ প্রদর্শিত হইয়াছে। হীনবীৰ্য্য হইলে যদিও মস্তিষ্কের গঠনের ক্ষয় হয় বটে, এতদ্ব্যতীত আর একটী বিশেষ কারণও আছে। জীবতত্ত্ব ভেদ করিলে দেখা যায় যে, প্রত্যেক জীব পরমাত্মা হইতে সঙ্কল্প-রূপ স্বতন্ত্র দেহ লইয়া লীলাক্ষেত্রে অভিনয় করিতেছেন । রামকৃষ্ণদেব কীট পতঙ্গ, স্থাবর, জঙ্গম প্রভৃতি দৃশু, অদৃশ্ব, আনুমাণিক এবং অনানুমানিক সমুদয় পদার্থ এবং অপদার্থকে পরমাত্মার বিকাশ বলিয়া গিয়াছেন। সে যাহা হউক, জীব বলিলে সঙ্কল্পরূপী পরমাত্মা পুঝিতে হইবে । পরমাত্মা বা ব্ৰহ্ম যে পৰ্য্যস্ত কোন প্রকার সঙ্কল্প বা ইচ্ছা না করেন, সে পৰ্য্যন্ত তিনি এক অদ্বিতীয় ভাবে অবস্থিতি করেন, তখন স্বষ্টি বলিয়া কিছুই থাকে না এবং স্বল্প পদার্থ বলিয়াও কিছু থাকে না। যখন পরমাত্মা সঙ্কল্প করেন, সেই সময়ে তিনিই ভিন্ন ভিন্ন রূপে আপনি প্রকটিত হইয়া থাকেন। রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন, যেমন বালকেরা আপনাপন চক্ষু বস্ত্রাবৃত করিয়া অন্ধের ক্রীড়া করে, বাস্তবিক সে কানা ন হইয়াও সাময়িক কানা হয়। কানা হওয়া যেমন সঙ্কল্প হইতে উদ্ভূত হয়, পরমাত্মার জীব হওয়াও তদ্রুপ। অথবা, যেমন যাত্রা বা থিয়েটারাদিতে দেখিতে পাওয়া যায় যে, সকলে আপনাপন স্বাভাবিক অবস্থার ভাবান্তর করিয়া কেহ রাম, কেহ হনুমান, কেহ রাবণের অভিনয় করে। যে রাম সাজে, সে রাম নহে, তাহ সাময়িক সঙ্কল্পবিশেষ