পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ S63 ] চাদরখানি ছিড়িয়া গিয়াছে, কেহ অদ্যাপি পরিবর্তন করিয়া দেয় নাই । আমাদের দেশের প্রথা এই যে, সাধুদিগের নিত্য ব্যয়ের জন্ঠ ধনীর ব্যবস্থা করিয়া রাখেন। সাধুকে যদ্যপি দৈনিক ব্যয়ের নিমিত্ত চিন্তিত হইতে হয়, তাহা হইলে তাহার সাধন ভজন হইবে কিরূপে ? অতএব আপনি স্বীকার করুন, আমি কল্যই দশহাজার টাকা লইয়া আসি । রামকৃষ্ণদেব এই বলিয়া আপত্তি করিয়াছিলেন যে, দেখ কাঞ্চনের সহিত সম্বন্ধ স্থাপন করিলেই মন সঙ্কল্পযুক্ত হইবে । এখন আমার মন ভগবানে আছে । আমার ধন নাই, অন্য সম্পত্তি নাই, মন কি লইয়। সঙ্কল্প করিবে ? মা কালীর কাছে থাকি, তিনি যখন যাহা ভাল বুঝেন, তাহাই করেন । আমার সঙ্কল্পাদি সকলই মার ইচ্ছ। যদ্যপি তুমি কাঞ্চনের সহিত আমার সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া দিতে চাও, তাহ হইলে আমার মন মা কালী হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া তোমার দশ হাজারে আসিবে । অতএব এমন সৰ্ব্বনাশ করিয়া দি ও না। লক্ষ্মীনারায়ণ কহিলেন যে, সাধারণ জীবের পক্ষে লে কথা সস্তবে, আপনার তাহাতে কি হইবে ? যেমন তৈলের সহিত জল মিশাইলে কখন চূড়ান্ত রূপে মিশিয়া যায় না, তৈল জলের উপরে ভাসিয়া থাকে ; সেইরূপ যে মন একবার বিষয় হইতে পৃথক হইয়াছে, তাহ আর বিষয়ের সহিত কখন মিশিতে পারে না। রামকৃষ্ণদেব হাসিয়া বলিলেন, যে কথা বলিয়াছ, তাহা সত্য বটে । তৈলের সহিত জল একেবারে মিলিত হয় না । কিন্তু তাহারা একত্রিত হইলে মন রূপ তৈলের স্বক্ষকণাসকল জলের সহিত মিশ্রিত ভাবে থাকিতে পারে না ? অবশ্যই থাকে। এবং তজ্জন্ত জলে তৈলের গন্ধ পাওয়া যায়। অতএব দেখ, তোমার উপমায় তুমিই আমায় শিক্ষা দিলে যে, বিষয়ের সহিত মন মিশ্রিত হইলে কিয়ং পরিমাণে তাহার হ্রাস হইয়া যায়। দ্বিতীয় কথা এই