পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ S&సి ] সাধনা করেন, অবশ্য তিনি অন্যান্য সাধকের ন্যায় নিজ শরীর হইতে শুক্র বাহির করেন নাই, তিনি যেমন সকল সাধনার পূর্বে আদ্যাশক্তি কালীকে জিজ্ঞাসা করিতেন, এ সম্বন্ধেও তিনি সেইরূপ ব্ৰহ্মময়ীকে জিজ্ঞাসা করিবামাত্র তিনি প্রত্যক্ষ করিলেন যে, যেন শুক্রের প্রবাহ চলিয়া আসিতেছে । তিনি তাহ দর্শন করিয়া অতিশয় আনন্দিত হইতে লাগিলেন। ক্রমে র্তাহার চতুদিকেই সেইরূপ প্রবাহ দেখিতে লাগিলেন এবং অতি অল্পক্ষণের মধ্যে তিনি শুক্রে নিমজ্জিতপ্রায় হইয়৷ উঠিলেন। তিনি বলিতেন যে, শুক্র নদীতে তাহার কণ্ঠ পৰ্য্যন্ত ডুবিয়া গিয়াছিল। তিনি যখন শুক্রের দিকে দৃষ্টিপাত করেন, তখন তিনি তাহা চৈতন্য বলিয়া প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন । এই নিমিত্ত যে সঞ্চালিত চৈতন্য শুক্ররূপে বহির্গত হয়, তাহ সঙ্কল্পবিশেষে অবস্থিতি করেন। শুক্রস্থিত সচেতন কীটগুলি যখন শরীর হইতে বাহির হুইয়া যায়, সুতরাং তখন সেই ব্যক্তির আত্মা অংশ হইয়া যায় বলিতে হইবে কিন্তু আত্মার অংশ হয় কিরূপে ? সন্তানাদিতে দেখিতে পাওয়া যায় যে, পিতা মাতার আকৃতির আভাস এবং স্বভাব ও ব্যাধি প্রভৃতি নানা প্রকার ভাব প্রকাশ পাইয়া থাকে । এস্থলে কি কহ। যাইবে ?—অংশ শব্দই প্রয়োগ হয়। অংশ বলিলে আমরা কোন বস্তুর খণ্ড বুঝিয়। থাকি, কিন্তু সন্তানাদি সম্বন্ধে তদ্রুপ নহে । যেমন একটা দ্বীপ হইতে সহস্র দীপ জ্বালান যাইতে পারে । আদি দীপ তাহাতে বিখণ্ডিত হয় না। যদিও এই দীপের দৃষ্টান্তে বুঝা যায় যে, আদি দীপটী নিবিয়া যাইলে অন্তান্ত দীপ যে তদূসহ নিবিয়া যাইবে, তাহা নহে । আদি দীপ যদিও তাহার ভাবে জলিতে পারে, নাও জলিতে পারে এবং তৎপ্রস্থত দীপের সহিত স্থলে বিশেষ সম্বন্ধ দেখা যায় না। কিন্তু স্বল্প দৃষ্টিতে আদি দীপের সহিত প্রত্যেক