পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ అు ] কাঞ্চনের সংস্কার এবং সঙ্কল্প হইতে যে কেহ স্বতন্ত্র হইয়া থাকিতে পারিবেন, তিনিই সাধনের অধিকারী হইবেন । কেবল কামিনীকাঞ্চনের দ্বারা অধ্যয়ন ও যোগ প্রক্রিয়াদির কার্য্য কমাইয়া দিয়াছেন, কারণ পরমায়ু অল্প, অধ্যয়নাদিতে সময় অতিবাহিত হইয়া যাইলে সমাধি লাভের বিলম্ব হইবে। তিনি জ্ঞান পন্থায় সাধক হইয়া দেখাইয়াছেন যে, কামিনীকাঞ্চনবিরহিতচিত্ত হইয়া অনুরাগে ভগবান চিন্তা করিলে তিন দিবসে সমাধি লাভ অর্থাৎ জীবাত্মা ও পরমাত্মা একীভূত হইতে পারে। জীবের পক্ষে তিন দিন না হউক, তাহার শ্ৰীমুখের কথায় অন্ততঃ বারো ক্ষণ, বারে দিন, বারো মাস বা বারো বৎসর নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে । তবে কি গৃহী হইলে সাধনের অধিকার একেবারে হয় না ? গৃহীদিগের সাধন শব্দ মুখে বাহির হইলে বাচালতা প্রকাশ পায় ? যেমন ছোট ছোট ছেলেরা মাথায় পাগড়ী বাধিয়া কানে কলম গুজিয়; আফিসে যাইবার অভিনয় করে, অথবা রঙ্গালয়ে সাধু মহাস্তের কিম্ব’ বাদশাহের অভিনয় হয় ; গৃহী হইয়া সাধন করাও তদ্রুপ। গৃহী বলিলে কামিনীকাঞ্চনশ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিকে বুঝায়। এ কথা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, ব্রাহ্মণ হউন, ক্ষত্রিয় হউন, বৈশ্য হউন, আর শূদ্র হউন— সকলেরই এক দশা । শাস্ত্রজ্ঞ হইলে পণ্ডিত কহ যায়, শাস্ত্রজ্ঞানবিহীন হইলে মূৰ্খ বলে। এই দুই অবস্থায় কেহই সাধক বলিয়া পরিগণিত হইতে পারেন না । মোক্ষমূলার শাস্ত্রজ্ঞ বটেন, তাই বলিয়া কি তিনি সাধক ? সেই প্রকার আমাদের দেশের পণ্ডিতের শাস্ত্রজ্ঞ বটেন, কিন্তু সাধক নহেন। যেহেতু, তাহার কামিনীকাঞ্চনের উপাসক। গৃহী অর্থাৎ কামিনীকাঞ্চনের দাসত্ব করিয়া আত্মার উৎকর্ষ সাধন হয় না । কি করিলে আত্মা স্বপ্রকাশ হয়, কিরূপে তাহ রক্ষা হয়,