পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوالا ] করিয়া থাকেন, সেই অবস্থায় যদ্যপি তাহার কামিনীকাঞ্চন মিথ্য বলিয়া প্রচার করেন, তাহ হইলে তাহাদিগকে ঠগ ভিন্ন অন্য নামে বাস্তবিক উল্লেখ করা যায় না। মুখে বলিলাম যে, দেখ সংসার ভ্রম, দারা পুত্রাদি কেহ কাহার নহে। স্ত্রী অসুস্থ হইলে সেই ব্যক্তি চতুর্দিক অন্ধকার দেখেন। তাহার মুখে কি স্ত্রীর অসারতা কথা সাজে ? গৃহীরা সেই জন্য এই অবস্থায় ঠগ বলিয়া পরিচিত হয়েন । ঠগ হইবার হেতু ভাবের ঘরে চুরি । অন্তরে বাহিরে সামঞ্জস্য নাই। যোগী অর্থাৎ সাধক হইয়া র্যাহারা বাহিরে কামিনীকাঞ্চন ত্যাগের ভান দেখাইয়া গুপ্তভাবে যদ্যপি কামিনী সহবাস করেন, তাহাদের ভাবের ঘরে চুরি হয়, সুতরাং তাহারা ঠগ । এই তিনটা দৃষ্টান্তের তাৎপৰ্য্য বাহির করিলে কি বুঝা যায় ? এক পক্ষে কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ, আর এক পক্ষে ভাবের ঘরে চুরি না থাকা । এই অবস্থা যাহার হইবে, তিনিই প্রকৃত সাধনের অধিকারী । এক্ষণে উপায় কি ? গৃহী আমরা, কামিনীকাঞ্চনে সিদ্ধ হইয়াছি। কামিনীকাঞ্চনে নাগপাশে আবদ্ধ হইয়াছি ! কোন স্থত্রে সে স্বত্র ছিন্ন করিবার উপায় নাই ! সঙ্কল্পের স্রোতে কোথায় ভাসিয়! গিয়াছি, তাহার কুল কিনারা দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না ? কতই সকল্প করিতেছি । সঙ্কল্পের অবধি নাই, কেমন করিয়া সে সঙ্কল্প ক্ষয় হইবে ? খুন করিয়াছি, এখন অনুশোচনা করিলে কি ফল হইবে ? কার্য্যের অমুগামী ফল, ইহাই বিধাতার অপরিবর্তনীয় বিধি । সে বিধির বিপৰ্য্যয় হইবে কিরূপে ? ভাবের ঘরে চুরি করিতে শিক্ষা করিয়াছি, তাহা অভ্যস্থ হইয়া গিয়াছে । অভিমান আমাদিগকে বৰ্ম্মাবৃত করিয়া রাখিয়াছে, অভিমান কখন হৃদয়ের প্রকৃত ভাব বাহির