পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[۹ مواد ] জীবজীবন হয় অর্থাৎ ব্রহ্মরূপ জলে জীবরূপ বিম্ব জন্মায়। তাহা হইলে পাপ পুণ্য কিম্বা আত্মার উন্নতি অবনতি প্রসঙ্গ লইয়া অনর্থক আলোচনায় সময় ক্ষেপ হইয়া থাকে, তাহার সন্দেহ নাই । রামপ্রসাদ এই ভাবটী অতিশয় স্পষ্ট করিয়া বুঝাইবার নিমিত্ত বলিয়া গিয়াছেন যে, পাঞ্চভৌতিক দেহ বিনষ্ট হইয়া যাইলে মৃত্যু কহে এবং তাহারা আপনাপন স্থানে চলিয়া যায় । যাহারা বৰ্ত্তমানকালে বৈজ্ঞানিক শিক্ষার দ্বারা স্পষ্ট দেখিতে পান যে,—পদার্থদিগের সংযোগে দেহ জন্মায় এবং তাহাদের রাসায়নিক পরিবর্তন দ্বারা দেহ রক্ষা ও বিনষ্ট হয় ; বায়ুর দ্বারা শোণিত বিশুদ্ধ হওয়াও রাসায়নিক শক্তির কার্য্য, ভোজ্য সামগ্ৰী প্রস্তুত হওয়া এবং শরীরে পরিপাক পাওয়া ও তাহ শোণিতে পরিণত হওয়া রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলস্বরূপ ; ফলে শরীর হওয়া, থাকা এবং যাওয়া রাসায়নিক প্রক্রিয়ার অন্তর্গত ; – এরূপ স্থলে, তাহারা বলেন, আত্মা বিশ্বাস করিয়া অনর্থক সাংসারিক সুখ হইতে বঞ্চিত থাকা নিতান্ত পাগলামীর কথা ব্যতীত আর কিছুই নহে। আত্মা লইয়া বিচার করিতে যাইলে আমাদিগকে এইরূপ নানাপ্রকার বিভ্রাটে পতিত হইতে হয়। কেহ জোর করিয়া আত্মা বিশ্বাস করেন, কেহ নিজ দৌৰ্ব্বল্যতার নিমিত্ত ভয়ে আত্মা বিশ্বাস করেন, এবং কেহ একেবারে বিশ্বাস করেন না। যিনি বিশ্বাস করেন, তিনি বিশেষ প্রমাণ বা যুক্তি দিতে পারেন না, কিন্তু যিনি বিশ্বাস না করেন, তাহার পক্ষে প্রচুর প্রমাণ আছে। এই নিমিত্ত ধৰ্ম্মজগতে অবিরত গোলযোগ ঘটিয়া থাকে। যদিও আত্মবাদীরা শাস্ত্রের প্রমাণ দিয়া তাহদের পক্ষ পোষণ করিতে পারেন বটে, কিন্তু যাহারা শাস্ত্র মানিতে চাহেন না, তাহাদিগকে প্রত্যক্ষ প্রমাণ না দেখাইলে কখন বিশ্বাস করিবেন না, কিন্তু