পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >>రి স্বজিত। সুতরাং এই শেষোক্ত মতে স্বষ্টিকর্তা এবং স্বজিতভাব আছে । যাহারা “আমি এবং অামার’ বলেন, তাহারা সত্য কথা কহিয়া থাকেন, যাহারা “তুমি এবং তোমার’ মতের পোষকতা করেন, তাহাও তাহাদের ভ্রম নহে । কারণ বৈশ্লেষিক এবং সাংশ্লেষিক বিচার দ্বারা অদ্বৈত এবং দ্বৈতভাব প্রাপ্ত হওয়া যায়। স্কুলে বহু এবং মহাকারণে এক, একথা পদার্থবিজ্ঞান আমাদিগকে শিক্ষা দিয়াছে । মহাকারণ অর্থাৎ পরমাত্মায় বহুভাব থাকে না, সেই অবস্থার নিকটবৰ্ত্তী হইলে এক জ্ঞানই লাভ করা যায়। জ্ঞানীরা সেইজন্য সৰ্ব্বত্রে পরামাত্মাকে অনুভব করিয়া থাকেন। যাহারা পদার্থবিজ্ঞান পড়িয়াছেন, তাহারা কি একথা বলিতে পারেন না যে, সমুদয় পদার্থ ব্যোম বা ইথারপ্রস্থত ? অথবা সমুদয় ইথার বলিলে অবশ্য তাহার অবস্থান্তর বুঝিতে হইবে। যদ্যপি একথা বলা যায় যে, পৃথিবী H2O দ্বারা পরিপূর্ণ। H2O বলিলে কি বুঝাইবে ? আমরা কি কেবল জলীয় বাষ্প বুঝিব, না জল বুঝিব? না বরফখণ্ড বুঝিব ? এই ত্রিবিধ অবস্থাই বুঝায়। ইহা বুঝে কে ? র্যাহার H2O জ্ঞান আছে, জল এবং বাষ্প বলিলে যাহার ভাব ধারণা করিবার যোগ্যতা আছে, তাহার নিকট এ প্রকার কথার অর্থবোধ হইবার সম্ভাবনা । কিন্তু অষ্ঠের পক্ষে বাস্তবিক অসম্ভব জ্ঞান হইবে, সে বিষয়ে সন্দেহ কি ? পরমাত্মা এবং জীবাত্মা সম্বন্ধে সেই প্রকার বুঝিতে হইবে। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, ভগবান সঙ্কল্পের বশবৰ্ত্তী হইয়া জীব পদে অভিহিত হইয়া থাকেন। তিনি যত সঙ্কল্প করেন, স্বরূপভাব হইতে ততই দূরে নিপতিত হন। যেমন কোন ব্যক্তি চোরের অভিনয়কালীন আপনাকে ভুলিয়া যায়, সে আপনাকে সাময়িক বিশ্বত হয় বলিয়া তাহার স্বরূপের চূড়ান্ত ব্যতিক্রম হয় না। সেইরূপ ○○