পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২০৬ ] য়াছি, আপনি যাহা, তাহ প্রত্যক্ষ করিয়াছি, আর অধিক জানিতে চাহি না । আমি একাকী ট্রামে যাইতেছি, পাছে অজ্ঞান হইয়া পড়ি। অজ্ঞানহই তাহাতে চিন্তা নাই, কিন্তু লোকে কি মনে করিবে ? এইরূপ মনে মনে প্রার্থনা করিবামাত্র অমনি সে দৃশ্য অদৃশ্য হইয়া গেল। আমি যাহা দেখিয়াছি, তাহ প্রকাশ করিবার সাধ্যমত চেষ্টা করিলাম, যদ্যপি কাহার এ অবস্থা হইয়া থাকে, তিনি বুঝিতে পারিবেন । আত্ম বা পরমাত্মা বিযয় বুঝাইবার নহে এবং বুঝিবারও নহে ; তাহ সময়ের কার্য্য, সময়ে হয় এবং সময়ে আপনি বুঝা যায় । যাহার যখন সময় হইবে, তিনি সেই সময়ে আপনি বুঝিয়া লইবেন । শেষ কথা হইতেছে যে, যদ্যপি পরমাত্মা সঙ্কল্পিত হইয়। জীবাত্মা ব: আত্মার ভাবে জীবাদিরূপে সঙ্কল্পে পরিভ্রমণ করিয়া থাকেন এবং যে পৰ্য্যন্ত সঙ্কল্প সমূলে বিনষ্ট না হয়, সে পৰ্য্যন্ত সে আত্মা কখন পরমাত্মায় মিলিত হইতে পারেন না, তাহ হইলে অবতারের প্রয়োজন হয় কেন ? অবতার বলিয়া কাহাকে স্বীকার করিবার হেতু কি ? রামকৃষ্ণদেব বলিয়া গিয়াছেন যে, “পঞ্চভূতের ফদে ব্ৰহ্ম পড়ে কাদে।” ইতিপূৰ্ব্বে অনেক স্থলে বলিয়াছি যে, রামকৃষ্ণদেব সৰ্ব্বদ। বরাহ অবতারের দৃষ্টান্ত প্রয়োগ করিতেন। অতএব ঐ দৃষ্টান্ত দ্বার আমাদের আদ্যকার প্রস্তাব মীমাংসা করা হউক । স্বয়ং বিষ্ণুই বরাহরূপে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। অবতারের কার্ষ্য পরিসমাপ্ত করিয়া তিনি শূকরী ও শাবকাদি লইয়া দুৰ্গন্ধময় পঙ্কিলহ্লানে শয়ন করিয়া দিনযাপন করিতে লাগিলেন । বহুদিবস অতিবাহিত হইয় গেল, তথাপি তিনি লীলারূপ পরিত্যাগ করিলেন না। ব্রহ্মা, শিব ও অন্যান্য দেবতারা, বরাহরূপী বিষ্ণুর নিকটে আসিয়া প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হইয়া বরাহরূপী বিষ্ণু কহিলেন যে,