পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २.०१ ] দেবগণ ! আমায় তোমর বিরক্ত করিও না। আমি পরমসুখে আছি । শূকরীর ভালবাসায়, শাবকদিগের পিতৃভক্তিতে, আমি পরমসুখে আছি । তোমর নিজ নিজ স্থানে গমন কর, আর আমায় বিরক্ত কুরি ও না । এই কথা শ্রবণান্তে মহেশ্বরের সহিত তুমুল সংগ্রাম হয় এবং তাহাতে উভয়েই যারপরনাই শ্রাস্তিযুক্ত হইয়া পড়েন। পরে ব্রহ্মার সহিত যুক্তি করিয়৷ পাঞ্চভৌতিক দেহই সকল বিপত্তির মূলাভূত কারণ প্তির হয় এবং ঐ শূকরদেহ শিব কর্তৃক বিদীর্ণ হইবামাত্র চতুভূজ বিষ্ণু সহস্তে প্র ষ্টান করেন । তবে তারের শিবের ন্যায় কাৰ্য্য করিতে আসিয়া থাকেন । আত্ম যখন ক্রমান্বয়ে সঙ্কল্পের উপর সঙ্কল্প করিয়া একেবারে আবদ্ধ হইয় পড়েন, তখন সেই সঙ্কল্পাবদ্ধ আস্থার সঙ্কল্পক্ষয় করিয়া বিমুক্ত করিবার জন্য পরামাত্মা সঙ্কল্প করেন। এইরূপ সঙ্কল্পিত পরমাত্মাকে অবতার কহ যায় । ইতিহাস পাঠ করিয়া দেখিলে বুঝা যায় যে, যে সময়ে আত্মা অর্থাৎ জীবগণ সঙ্কল্পের চরমসীমায় উপস্থিত হন, সেই সময়ে অবতারের আগমন অবশ্যম্ভাবী । শাস্ত্রেও ত{হাই কথিত আছে । বৰ্ত্তমানকালে আমরা সকলেই কামিনীকাঞ্চন সঙ্কল্পে ডুবিয়া গিয়াছি, আমাদের এমন অবস্থা আসিয়াছে যে, আত্মাকে সঙ্কল্পহীন করা দূরে যাউক, তাহার অস্তিত্ব অস্বীকার করিয়া বেড়াই। সঙ্কল্পক্ষয় না করিয়া প্রতিক্ষণে তাহীর সংখ্যা বাড়িয়া যাইতেছে । মন সঙ্কল্পবিবৰ্জ্জিত নহে, সুতরাং তাহার কার্য্য আরম্ভ হইলেই ক্রমান্বয়ে সঙ্কল্লাশয় করিতে চাহে । একবার সঙ্কল্পের করগ্রস্ত হইলে আমনি মনকে কোথায় লইয়া যায়, তাহার ইয়ত্ত করা সাধ্যাতীত হইয়া পড়ে। আত্মাকে স্বপ্রকাশ করিবার নিমিত্ত আমরা কি ব্যতিব্যস্ত হইয়া থাকি ? অথবা যাহাতে তাহার উপরে উপযুপিরি আবরণ