পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ سواهد ] পতিত হইয়া যায়, তাহার ব্যবস্থা করিতে ধাবিত হই ? আত্মা কোথায়, কি উপায়ে তাহাকে দেখিব, কেমন করিয়া পরমাত্মার নিকটস্থ হইব, এরূপ সঙ্কল্প কোথায় ? সুতরাং আমরা অতি শোচনীয়াবস্থায় পতিত হইয়াছি । আমাদের যে প্রকার অবস্থা আসিয়াছে, আমাদের আত্মা যে প্রকার সঙ্কল্পাবৃত হইয়াছে, তাহাতে আমাদের দ্বারা আত্মার কোনপ্রকার কল্যানসাধন হইতে পারে না । বরাহরূপী নারায়ণের শূকরী ও শাবকদিগের সহিত সহবাসের ন্যায় আমরা কামিনী ও সন্তানাদি লইয়া পঙ্কিল সংসারে নিশ্চিন্ত হইয়া শয়ন করিয়া রহিয়াছি। একবার মনে হয় না যে, এ দিনের পরিসমাপ্তি হইলে কি হইবে ? যাইব কোথায় ? ব্রহ্মাদি দেবতাদিগের ন্যায় শাস্ত্রবাক্যাদি কৰ্ণবিবরে প্রতিধ্বনিত হইলে যদিও আত্মার দুর্দশাবস্থার কথ। স্মরণ হয় বটে, কিন্তু শূকর শাবকদিগের ন্যায় সস্তানসস্ততীর মুখাবলোকন করিবামাত্র সঙ্কল্পাবরণ মনে পতিত হইয়া যায়। আমনি বিস্মৃতি আসিয়া অধিকার করে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের তদ্রুপ দশ বটিয়াছে। এই অবস্থা হইতে উদ্ধারের আর আমাদের উপায়স্তর নাই, এই অবস্থায় কল্যাণ বিধান হইবার অন্য ব্যবস্থা নাই। বরাহের যেমন পাঞ্চভৌতিক দেহ বিদারণ হইবামাত্র, বিষ্ণু শূকরীর প্রেমজাল এবং শাবকদিগের মায়াপাশ বিচ্ছিন্ন করিয়াছিলেন, রামকৃষ্ণদেব তেমনি জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং ভক্তিরূপ ত্রিশূল দ্বারা আমাদের সঙ্কল্পিত দেহ বিদারণ পূর্বক আত্মা দর্শনের ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। রামকৃষ্ণের ত্রিশূলাঘাত ভিন্ন বর্তমান কালে উপায় নাই। জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং ভক্তি একত্রে তিনি সামঞ্জস্ত করিয়া গিয়াছেন। প্রকৃত তত্ত্বজ্ঞান লাতের রাজপথ তিনিই খুলিয়া দিয়া গিয়াছেন। স্বীকার করি, জ্ঞান-পথ, বিজ্ঞান-পথ ও ভক্তি-পথ ছিল— এখনও আছে, কিন্তু