পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২১৫ ] গিয়াছে। যদিও সাক্ষাৎ সম্বন্ধে বর্ণবিভাগ অদ্যাপি আছে, কিন্তু তাহ। কাৰ্য্যক্ষেত্রে এত জটিলভাবাপন্ন হইয়া পড়িয়াছে যে, সে বিভাগ থাক। ন; থাকা সমান বলিলে হয় । অনেকের অভিপ্রায় এই যে, বর্ণ বিভাগ না থাকাই কৰ্ত্তব্য । ব্রাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়,বৈশ্য, শূদ্র প্রভৃতি বর্ণান্তর জ্ঞান থাকায় পরস্পর দ্বেষ ভাব জন্মিয়া থাকে এবং তজ্জন্য ভারতের অধঃপতন ঘটিয়াছে । এই বর্ণসঙ্কর ভাবানুমোদনকারী ব্যক্তির নিজ নিজ অভিপ্রায় কার্য্যে পরিণত করিতে সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছেন এবং তাহারা অনেক পরিমাণে কাৰ্য্যেও পরিণত করিয়াছেন । সুতরাং চতুৰ্ব্বৰ্ণ স্থানে বর্তমান কালে অসংখ্যক প্রকার বর্ণসঙ্কর বা যৌগিক বর্ণের অভু্যদয় হইয়। ধরাধাম পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। স্বষ্টির প্রারম্ভে চারিটী বর্ণের উৎপত্তি হয়, এই বর্ণচতুষ্টয় হিন্দুজাতি বলিয়া পরিগণিত। বর্ণচতুষ্টয় আশ্ৰমধৰ্ম্মাদি বিবর্জিত হইয়া সঙ্কর অর্থাৎ বর্ণাস্তর এবং বর্ণাস্তরের সঙ্করত্ব সংঘটিত হইলে আচার ব্যবহারের বিপৰ্য্যয় হওয়ায় নানা প্রকার যৌগিক বর্ণের উৎপত্তি হয়, এক্ষণে যাহারা জাতিবিশেষ বলিয়া পরিচিত । অতএব আদি হিন্দু চারি বর্ণে বিভক্ত ছিলেন। কার্য্যকরী শক্তি এইরূপ বিভাগের ঔৎপত্তিক কারণ হইলেও বর্ণগত নির্দিষ্ট লক্ষণ ছিল। ব্রাহ্মণ ব্রহ্মবিদ্যায় যতদূর পারদর্শী হইতে পারিতেন, শূদ্র কখন ততদুর কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিতেন না। কারণ, ব্রহ্মার সঙ্কল্পানুসারে ভিন্ন ভিন্ন প্রকার কার্য্যের নিমিত্ত চারিট বর্ণের স্বষ্টি হয়। সুতরাং চারিবর্ণের বিশেষ বিশেষ লক্ষণ অবশ্যই থাকিবে । একথা স্বীকার করিতে হইবে যে, চারিট বর্ণ স্বষ্টি হইবার পর যৌগিক বর্ণের উৎপত্তি হইয়াছিল, কিন্তু তাহার। বর্ণচতুষ্টয়ের মধ্যেই