পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২১৭ ] ক্ষত্রিয়, ব্যবসা বাণিজ্য করিবার শ্রেণী কে বৈশ্য এবং ইহাদের অন্যান্য কাৰ্য্য করিবার শ্রেণীকে শূদ্র বলা হইত। এক্ষণে শাস্ত্রোক্ত বর্ণচতুষ্টয় লইয়া যদ্যপি কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়া যায়, তাহা হইলে সামাজিক বিভাগ একেবারে চর্ণ বিচূর্ণ হইয়া যাইবে । ভগবদ্ভক্ত শ্রেণীতে ব্রাহ্মণেরাই যে কেবল স্থল পাইবেন, তাহা নহে। যবন ও ম্লেচ্ছদিগকেও স্থান দিতে হইবে। ক্ষত্রিয় শ্রেণীতে হিন্দু ক্ষত্রিয়ের সম্পূর্ণ স্থান পাইবেন না, তথায় যবন স্লেচ্ছাদির শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিবেন। বৈশ্যতেও ঐরূপ ব্যাপার এবং শুদ্ৰ শ্রেণীতে সকল বর্ণের সমাবেশ দেখা যাইবে । শাস্ত্রমতে বর্ণ বিচার করিতে যাইলে প্রচলিত বর্ণদিগের লক্ষণের সহিত সাদৃশ্য দেখা যায় না, কিন্তু তাহ বলিয়। যে বর্ণ লোপ হইয়া গিয়াছে, এ কথা রামরুষদেব স্বীকার করিতেন না। গুণভেদে বর্ণ বিভাগের কথা যাহা উল্লিখিত হইয়াছে, তিনি তাহাই বলিতেন। যে কেহ ব্ৰহ্ম চিন্তা করিয়া ব্রহ্মবিদ হন, তিনিই ব্রাহ্মণ। অবশ্য এরূপ ব্রাহ্মণকে সামাজিক ব্রাহ্মণ বলা যায় না । যে কেহ রাজ্যশাসন করেন তিনিই ক্ষত্ৰিয়, ব্যবসা-বাণিজ্যপরায়ণ ব্যক্তিরা বৈশ্য এবং দাস্তোপজীবীর শূদ্র বলিয়া পরিকীৰ্ত্তিত হইয়া থাকেন। গুণভেদে বর্ণবিচার করিলে সে প্রকার বর্ণ চিরকাল থাকিবে, তাহা কম্মিস্কালে বিলুপ্ত হইতে পারে না। ব্রাহ্মণের যদ্যপি আচারভ্রষ্ট না হইয়া নির্দিষ্ট কাৰ্য্যকলাপপরায়ণ থাকেন, তাহা হইলে তাহার ব্রাহ্মণত্ব যাইবে কেন ? যেমন ধন থাকিলে ধনী বলে । সেই ধন যাহার নিকটে যায়, তৎকালে সেই ধনী বলিয়া পরিগণিত হয় এবং পূর্বের ধনী দরিদ্র ও পথের ভিখারী হইয় পড়েন। এক সময় তাহার ধন ছিল বলিয়া তাহাকে আর ধনী কহ যাইতে পারে না । গুণও তদ্রুপ । যখন যে ব্যক্তিতে প্রবেশ করে, তখন সেই ব্যক্তি গুণী হইয়া থাকেন । সম্রাট রাজ্যচু্যত