পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s S.82 ) চলিবে, তিনি যাহা মনে করিবেন তাহাই হইবে, পিতা মনে করেন যে সকলে তাহার ইচ্ছাধীন থাকিবে, তিনি ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডের ঈশ্বরস্বরূপ বিরাজ করিবেন । পুত্রেরা মনে করে যে, যত ভাগের সংখ্যা কমিয়া যায়, ততই শ্রেয়। পুত্রবধুর স্বাধীন ভাবে দিন যাপন করিতে চাহেন। এমন কি, বেতনভোগী ভূত্যেরাও স্বার্থপরতা রূপ স্বাধীন বৃত্তির পরিচয় দিতে সৰ্ব্বদা প্রস্তুত রহিয়াছে। যে স্তানে স্বার্থপরতার সাম্রাজ্য স্থাপন হয়, সে স্থানে শান্তি কোথায় ? শাস্তি কি এক অনুপলকাল অবস্থিতি করিতে পারে ? এই নিমিত্ত বৰ্ত্তমানকালের সংসারাশ্রম অশাস্তির আলয় হইয়া পড়িয়াছে। পূৰ্ব্বকালের হিন্দুগণ ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম হইতে আত্ম-জ্ঞান লাভ পূৰ্ব্বক সংসারে প্রবেশ করিতেন । এই জন্য র্তাহার প্রেমের সহিত সাংসারিক কাৰ্য্যকলাপ সম্পন্ন করিয়া যাইতে পারিতেন। তাহারা মনে বুঝিতেন যে, এক পরমাত্মা সঙ্কল্পপথারূঢ় হইয়! নানারূপে লীলা খেলা করিতেছেন। স্থলে তিনিই বহু-বহু ভাবব্যঞ্জক । সুতরাং তাহারা সংসারে কাহার সহিত স্বাৰ্থ লইয়া বিবাদ বিসম্বাদ করিবেন ? অথবা যদিই বিবাদ বিসস্বাদ করিতে হইত, তাহা হইলে তাহারা জানিতেন যে, ইহা ভগবানের লীলাবিশেষ। যে সময় কৈকেয়ীর কৌশলে কৌশল্যার হৃদয়মণি রঘুমনি অরণ্যে গমন করেন, সে সময়ে ভরত রাজধানীতে ছিলেন না । ভরত রাজপ্রাসাদে প্রত্যাগমন করিয়া রামচন্দ্রের বনগমনবাৰ্ত্তা শ্রবণ পূৰ্ব্বক নিজ মাতাকে তিরস্কার করিয়া রাঘবকুলরবিকে স্বদেশে আনয়ন করিবার নিমিত্ত গমন করেন। কথিত আছে যে, কৈকেয়ীও র্তাহার সমভিব্যহারে গমন করিয়াছিলেন । ভরত জ্যেষ্ঠের চরণে নিপতিত হইয়া, অশেষ প্রকার অনুনয় বিনয় করায় রাম কহিয়াছিলেন যে, ভাই ! মাতার নিকট পিতা সত্যে