পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৪১ ] আবদ্ধ হইয়াছেন, সেই পিতৃসত্য পালনের নিমিত্ত আজ রাম বনবাসী । সত্য ভঙ্গ করিলে পিতা পতিত হইবেন। কৈকেয়ী এই কথা শ্রবণাস্তর কহিয়াছিলেন, হ্যারে রাম । রামায়ণ কি তোর লীলা দেখিয়া প্রণীত হইয়াছে ? না তোর লীলার পূৰ্ব্বে বাল্মিকী লিখিয়াছেন ? তুই নিজ লীলা বিস্তীর্ণ করিবি বলিয়া কৌশল পূর্বক কৌশল্যার গর্তে স্থান লইয়া কেন দুঃখিনী কৈকেয়ীকে এই লোকলজ্জায় ফেলিলি ? তোর নাট্যমন্দিরে তুই নট, তুই নটী, তুই অভিনেতা, তুই অভিনেতৃ, তাহ। আমি জানি ; কিন্তু অবস্থাবিশেষের কার্য্যবিশেষে ভাল মন্দ কথার চলন আছে ! সংসারের মায়ায় আমি যখন মনে করি যে, তুই আমার সপত্নীপুত্র, আমি তোর বিমাতা, তখন ভরতের দিকে দৃষ্ট পড়ে । যখন মনে করি যে, তুই পরমাত্মা, এ সকল তোর লীলা, তখনই রাম তোকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া মানবজন্মের স্বার্থকতা জ্ঞান করিয়া থাকি । তত্ত্ব-জ্ঞান-বিশিষ্ট সাংসারিক নরনারীদিগের বাস্তবিক এইরূপ বিজ্ঞান হইয়া থাকে। র্তাহার। সকলেই স্থলে নিজ নিজ ভাব বুঝিয়া থাকেন, আবার মূলে ও নিজ নিজ ভাব উপলব্ধি করিয়া থাকেন। মুলে এবং স্থলে যাহার একীকরণ করেন, তাহার প্রেমিক প্রেমিকা না হইয়া কখন কি স্বার্থপর হইতে পারেন ? তাই বলিতেছি যে, বৰ্ত্তমান কালের সংসার প্রেমবিহীন, পূৰ্ব্বে সংসার প্রেমপূর্ণ ছিল। প্রেমের কার্য্য স্বতন্ত্র । তাই তখন সকল প্রকার প্রেমের কার্য দেখা যাইত । তখনকার লোকের মাত৷ পিতাকে শ্রদ্ধা ভক্তি করিতে জানিতেন, ভ্রাত ও ভগ্নীকে ভালবাসিতে জানিতেন, স্বদেশী বিদেশীর সহিত সদ্ভাব দেখাইতেন, স্ত্রীর সহিত মধুরভাব স্থাপন করিতে পারিতেন, পুত্র কস্তাদিগের ভক্তিভাজন হইতেন । জুর্বে বলিয়াছি যে, তাহার। জানিতেন যে, সংসার ব্য5ী ত প্রেম শিক্ষা করিবার দ্বিতীয় স্থান আ র טי כי