পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১২ ] শৌচক্রিয়া হইবার সম্ভাবনা নাই, বোধ হয় উহা হরিতকীজষ্টি, তজ্জন্ত বিরেচক ধৰ্ম্মবিশিষ্ঠ । তৎপরে বলিলেন, “বাপু ! যদিও তোমার প্রহারে আমার অস্থি পর্য্যন্ত দ্বিখণ্ড হইবার উপক্রম হইয়াছে, কিন্তু অনেক দিন কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় নাই, তুমি আরও দুই চারিবার প্রহার কর, আমায় আর বিরেচক ব্যবহার করিতে হইবে না।” এপ্রকার ক্লেশ পাইবার হেতু পাণ্ডিত্য, সুতরাং ইহাকে রজোগুণ কহ যায়। ধনের দ্বারা ক্লেশের সীমা থাকে না । ক্লেশ পাওয়া এবং দেওয়া , ধনের দ্বারাই সাধিত হইয়া থাকে ধনা ধনের পরামর্শে অঙ্গকে নিধনী ঘুরতে প্রয়াস পান। দুৰ্ব্বলের এইরূপে ধনের দ্বারা এক দিকে ক্লেশ পায় এবং ধনাদিগকে চিন্তার জ্বরে আক্রান্ত হইয়া সব্বদ জর্জরীভূত হইতে হয়। আজ মোকদমা, কাল প্রজার শাসন, পরশ্ব সরিকী বিবাদ, তৎপরদিন ঋণগ্রস্থ হইয়া সৰ্ব্বস্ব হস্তান্তর হইয়। যাইলে ভিখারীর অবস্তায় নিপতিত হইতে হয় । তখন তাহার সেই দুঃখের কি অবধি থাকে ? ধনের গব্বে দুঃখ উপস্তিত হওয়া ইতিহাসের নুতন ঘটনা নহে। সৰ্ব্বদেশে, সৰ্ব্বসময়ে, সকলেই এই কথা বলিয়া আসিতেছেন । ধনের জন্য তস্করের ভয়, ধনের জন্ত শক্রতা, ধনের জন্য জ্ঞাতি বিরোধ, ধনের জন্য রাজার অস্তির হওয়া, ধনের জন্যই পথের ভিখারী হইতে হয় । এই সহরে কত ধনী ছিলেন, তাহারা ধনের গৌরবে না করিয়াছেন কি ? সতীর সতীত্ব নাশ, বিষয়ীর বিষয় নাশ, দুৰ্ব্বলকে পীড়ন, ইত্যাকার নানাবিধ কাৰ্য্য করিয়া পরিণামে র্তাহারা যে অবস্থায় পতিত হইয়াছিলেন এবং অদ্যাপি হইতেছেন, তাহা প্রত্যেকের প্রত্যক্ষ ঘটনা । কথা হইতে পারে যে, ধনের দ্বারা ইচ্ছামত কার্য্য সাধন করিতে পারিলে, সুখের পারাবার স্বজিত হইয়া থাকে এবং সেই উদ্দেশ্বে আমরা