পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २8७ ] অমন মিষ্ট লিচু কেহ কখন দেখে নাই, ইত্যাকার প্রত্যেক কথায় আমার এবং আমাদের বলিয়া থাকে। কিন্তু পুকুরের একটা মাছ ধরিয়া খাইলে, কৰ্ত্ত যদ্যপি সে কথা শুনেন, তাহ হইলে তৎক্ষণাৎ তাহাকে বাগান হইতে বাহির হইয়া যাইতে হয়। তখন এমন কি র্তাহার এ বো সিন্দুকটাও বিনা অনুমতিতে বাহিরে লইয়া যাইবার অধিকার থাকে না। সংসারে আমার সেইরূপ “আমার” সম্বন্ধে অবস্থিতি করিয়া থাকি । এই নিমিত্ত সংসারাশ্রমকে হিন্দুর দ্বিতীয়াশ্রম বলিয়। কহিয়াছেন । অর্থাৎ ইহাতে জীবনান্ত করা জীবনের কৰ্ত্তব্য নহে। এই নিমিত্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আশ্রম চতুষ্টয় অবলম্বন না করিলে তাহারা সকলের নিন্দনীয় হইতেন । কোন দেশে একজন খ্যাতনাম নৰ্ত্তকী বাস করিত। এই নৰ্ত্তকী একলক্ষ মুদ্রার কমে কোথাও নৃত্য করিতে যাইত না । একদা সেই দেশের নরনাথ প্রজাদিগের মানসিকভাব অবগত হইবার জন্য রজনীযোগে ছদ্মবেশে পরিভ্রমন করিতে যাইলেন। নানাস্থান পৰ্য্যটন করিয়া ঐ নৰ্ত্তকীর বাটীর সন্নিধানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । নর্তকী বারাণ্ডায় বসিয়া আক্ষেপ করিয়া বলিতেছিল যে, “এমন দেশে আসিয়া বাস করিয়াছি যে, আমার নৃত্য দেখে এমম ধনী নাই । অন্য কেহ নাই থাকুক, রাজাই বা কি ? তাহার কি ইহাতে লজ্জা হয় না । যাহাই হউক, অতি ত্বরায় এস্থান পরিত্যাগ করাই বিধেয়।” নর্তকীর কথাগুলি রাজা যত্নপূর্বক শ্রবণ করিলেন। তিনি পরদিবস প্রাতঃকালে দূত দ্বারা নর্তকীকে আহবান করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,—“তুমি নর্তকী ?” নর্তকী কৃতাঞ্জলিপুটে মস্তকাবনত করিয়া উত্তর দিল । রাজা নর্তকীর সৌজন্যতায় বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়। কহিলেন, “দেখ ! আমি শুনিয়াছি যে, তুমি লক্ষ টাকা পণে নৃত্য করিয়া থাক। তাহাতে ক্ষতি