পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २8१ } নাই । তোমার স্বষ্টিছাড়া পণেই আমি সন্মত হইলাম। কিন্তু সাবধান ! তুমি কিম্বা তোমার দলের কাহারও যেন নিদ্রাকর্ষণ না হয় ? তাহা হইলে আমি তোমায় সদলে বিনাশ করিব।” নৰ্ত্তকী তাহাই স্বীকার করিল। এই নৰ্ত্তকীর নৃত্য হইবে শুনিয়া অতিশয় জনতা হইল। সমুদয় রজনী পরমানন্দে অতিবাহিত হইয়া শেষ সময়ে দলস্থিত জনৈক ব্যক্তিকে জম্ভন করিতে দেখিয়া নৰ্ত্তকী কহিল, “বাপু ! কি করিতেছ ? তোমার কি জ্ঞান নাই যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে, নৃত্য পরিসমাপ্তির আর অধিক বিলম্ব নাই, তবে অকারণ কেন কলঙ্কের ভার মস্তকে লইয়া যাইবে।” নর্তকীর প্রমুখাৎ এই উপদেশবাণী বহির্গত হইবামাত্র রাজা পরমনন্দে মহামূল্যের হীরকমালা পারিতোষিক প্রদান করিলেন। রাজার গুরু কহিলেন, “বৎসে ! আমি আর তোমায় কি দিয়া আনন্দিত করিব, আমার এই হরিনামের মালা গ্রহণ কর।” যুবরাজ নৰ্ত্তকীর সম্মুখে যাইয়া অঙ্গুরী প্রদান করিলেন এবং উপর হইতে রাজকন্যা মতির মালা ফেলিয়। দিলেন । নৰ্ত্তকীকে এইরূপে পারিতোষিক প্রদান করিতে দেখিয়া রাজা গুরুকে জিজ্ঞাস করলেন, ‘প্রভো! আপনি কি জন্য পারিতোষিক দিলেন ?” গুরু কহিলেন, “দেখ মহারাজ ! আমি কামিনীকাঞ্চন অপার জানিয় তাহ পরিত্যাগ পূর্বক বিভুচিস্তায় জীবনাতিবাহিত করিবার মানসে ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম হইতে সন্ন্যাসাশ্রম অবলম্বন করিয়াছি। কিন্তু কি পরিতাপ ! আমি সন্ন্যাসী, একথা বিশ্বত হইয়া তোমার দীক্ষা গুরু হইয়াছি এবং রাজপ্রাসাদের রাজভোগে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতেছি । কোথায় গেল আমার সাধন, কোথায় গেল আমার ভজন, কোথায় গেল আমার সন্ন্যাস, কোথায় গেল আমার