পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s 8b J জীবনের লক্ষ্য। দিন কাটিয়া গেল, আর কতকাল ভবলীলা করিব জানি না, কখন জীবন-রঙ্গভূমির যবনিক নিপতিত হইবে জানি না। অদ্য নৰ্ত্তকী আমার গুরুর কার্য্য করিয়াছে। নৰ্ত্তকীর কথায় আমার ভ্রম বিদূরিত হইয়াছে । দীর্ঘকাল কাটিয়া গিয়াছে, আর সময় নাই । এই বেলা যদি সাবধান হই, তাহা হইলে হয় ত কেহ কলঙ্কারোপ করিতে পরিবে না। অতএব মহারাজ ! আমি বিদায় হইলাম।” গুরুর কথা পরিসমাপ্তি হইবামাত্র রাজা কহিলেন, “প্রভো ! কিঞ্চিৎ অপেক্ষা করুন, যুবরাজ এবং রাজকুমারী কি কারণে পারিতোষিক দিয়াছে, তাহ অবগত হইবার নিমিত্ত কুতুহল জন্মিয়াছে।" যুবরাজ কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন, “মহারাজ ! অপরাধ গ্রহণ করিবেন না । শাস্ত্রমতে পঞ্চাশ বৎসরের পর বনপ্রস্থাশ্রম অবলম্বন করা আমাদের কুলপ্রথা। আপনি তাহ অমান্য করিয়াছেন । আমি এইজন্য মনে মনে স্থির করিয়াছিলাম যে, নৃত্যাদি পরিসমাপ্ত হইলে আপনি যখন অন্তঃপুরে গমন করিবেন, সেই সময়ে গুপ্ত ঘাতক দ্বারা আপনার জীবন নাশ করিবার ব্যবস্থা করিয় রাখিয়াছিলাম । নৰ্ত্তকীর কথায় আমি বুঝিলাম যে, এতদিন কাটিয়| গিয়াছে, আর অল্প সময়ের জন্য কেন পিতৃঘাতী হইয়া কলঙ্কিত হইব।” রাজকুমারী কহিলেন, “মহারাজ ! আমার বিবাহের নিমিত্ত অদ্যাপি কোন ব্যবস্থ হয় নাই। তাই মনে করিয়াছিলাম যে, অদ্য যথায় ইচ্ছা চলিয়া যাইব এবং যাহাকে ইচ্ছা বিবাহ করিব । নৰ্ত্তকীর উপদেশে আমার জ্ঞান হইল যে, বিবাহ ন৷ হইয়। এতদিন কাটিয়া গিয়াছে, তাহাতে কোন ক্ষতি হয় নাই। অনর্থক অভিমানের বশবৰ্ত্তিনী হইয়। কেন কলঙ্ক-সাগরে ঝাপ দিব।” রাজ৷ তখন গাত্রে খান পূর্বক আপনার পরিচ্ছদাদি সমুদয় পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক রাজমুকুট এবং অসি যুবরাজকে প্রদান করিয়া গুরুকে কহিলেন,